State news

এনআরএস-এ প্রসূতির করোনা পজিটিভ, সদ্যোজাত-সহ মাকে পাঠানো হচ্ছে বাঙুরে

গত সোমবার তিনি সন্তান প্রসব করেন। এর পরই করোনার উপসর্গ দেখা যায় তাঁর শরীরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১১:৪৪
Share:

মেডিক্যাল কলেজের মতো এই হাসপাতালেও প্রসূতি বিভাগে রোগী ভর্তি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। -ফাইল চিত্র।

মেডিক্যালের পর এ বার এনআরএস। আরও এক প্রসূতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত সোমবার তিনি সন্তান প্রসব করেন। এর পরই করোনার উপসর্গ দেখা যায় তাঁর শরীরে। তার পরই তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। বুধবার রাতে সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই সদ্যোজাত এবং মহিলাকে আপাতত এমআর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলে খবর। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

কিছুদিন আগেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর এক মহিলার করোনা-পজিটিভ ধরা পড়ে। তার জেরে বন্ধ রাখতে হয় প্রসূতি বিভাগ। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সহ বেশ কয়েকজনকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে পাঠাতে হয়। এ বার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে এনআরএস হাসপাতালে। এনআরএস হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগেই ভর্তি ছিলেন ওই মহিলা। ওই সময় তাঁর সংস্পর্শে ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা এসেছিলেন, তার তালিকা তৈরির কাজ চলছে, তাঁদের প্রত্যেককেই আপাতত গৃহ-পর্যবেক্ষণে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ওই প্রসূতি বিভাগের কয়েকজন রোগীরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে টেস্ট করা হবে।

মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পরই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রসূতিদের চিকিত্সার ক্ষেত্রে আলাদা একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। প্রসূতিদের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল হাসপাতালগুলিকে। সেই নির্দেশিকা মানা হয়েছে কি না এবং পিপিই কিট ছাড়া ওই মহিলার সংস্পর্শে ডাক্তার, নার্স বা কোনও স্বাস্থ্যকর্মী এসেছিলেন কি না, তাও দেখা হচ্ছে। এনআরএসের এই ঘটনার ফলে মেডিক্যাল কলেজের মতো এই হাসপাতালেও প্রসূতি বিভাগে রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২০ লক্ষ

আরও পড়ুন: এই দেশগুলিতে ঢুকতেই পারেনি করোনা, জানেন তো?

এই এনআরএস হাসপাতালেই এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বন্ধ রাখতে হয়েছিল পুরুষ মেডিসিন বিভাগ। মোট ৭৯ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৭ জন চিকিত্সক ছিলেন। ফের এনআরএস হাসপাতাল একই পরিস্থিতির সম্মুখীন। এ রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ এবং এনআরএসের মতো বড় হাসপাতালগুলো ছাড়াও হাওড়া হাসপাতাল, আরজিকর এবং কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সদেরও কোয়রান্টিনে যেতে হচ্ছে, ফলে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতরের।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement