মৌলালিতে আরএসপি-র নিখিল বঙ্গ মহিলা সঙ্ঘের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির নানা নীতি ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভে নামল কংগ্রেস এবং বামেরা। বিধান ভবনের সামনে কংগ্রেসের ধর্না হল নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘দেশ বিক্রি’র চেষ্টা-সহ বিভিন্ন ‘জনবিরোধী নীতি’র প্রতিবাদে। শহরের অন্য দিকে অসম ভবনের সামনে বাম সংগঠনগুলির বিক্ষোভ ছিল উচ্ছেদ অভিযানের নামে অসমে পুলিশের হাতে ‘গণহত্যা’র বিরুদ্ধে।
মোদী সরকারের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে ১৯টি বিরোধী দল লাগাতার আন্দোলন ও প্রতিবাদের কর্মসূচি নিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে শনিবার দলের রাজ্য দফতর বিধান ভবনের সামনে ধর্নার আয়োজন করেছিল প্রদেশ কংগ্রেস। অন্য কোনও বিরোধী দলকে অবশ্য সেখানে ডাকা হয়নি। ধর্নায় ছিলেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার, আব্দুস সাত্তার, মায়া ঘোষ, কৃষ্ণা দেবনাথ, মহম্মদ মোক্তার প্রমুখ। কংগ্রেস স্বাধীনতার পরে ৭০ বছরে তিল তিল করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ গড়ে তুলেছিল আর এখন মোদী সরকার নানা গালভরা প্রকল্পের নামে জাতীয় সম্পত্তি বিক্রি করছেন— এই অভিযোগেই সরব ছিলেন কংগ্রেস নেতারা।
প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে যাঁরা দুর্বল ভাবছেন, তাঁরা ভুল করছেন। কংগ্রেস কর্মীদের বলছি, গ্রামে যদি এক জনও থাকেন, তা হলেও প্রতিবাদ করুন। যারা দেশকে বেচে দিচ্ছে, আবার যারা কংগ্রেসকে অসম্মান করছে, তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। মানুষও দেখছেন, কী হচ্ছে।’’ শুভঙ্করের বক্তব্য, ‘‘রাহুল গাঁধী বলেননি তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়ছেন। সেটাই মূল লক্ষ্য।’’ বাংলার পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘অসম্মান, ইতিহাস বিকৃতি মেনে নেওয়া যায় না। বানর সেনা তৈরি আছে, নির্দেশ পেলেই লড়াই হবে! কংগ্রেস কর্মীরা লড়তে জানেন।’’
অসমে সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধ করা ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার পদত্যাগ দাবি করে এ দিন অসম ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। পোড়ানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল। একই দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন ও তাদের নানা গণসংগঠন এবং আরও একাধিক নাগরিক সংগঠনের।
রান্নার গ্যাস-সহ জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং লোকাল ট্রেন চালুর প্রতিবাদে এ দিন মৌলালিতে আরএসপি-র নিখিল বঙ্গ মহিলা সঙ্ঘের বিক্ষোভ ছিল। রাস্তায় উনুন, হাঁড়ি, কড়াই রেখে মহিলারা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাঁদের তাড়া করে। পুলিশি বাধায় বিক্ষোভ শেষ হয়নি। সংগঠনের নেত্রী সর্বাণী ভট্টাচার্যের অভিযোগ, তাড়া করে আরএসপি-র রাজ্য দফতরে মহিলাদের ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ও ধর্মঘটের সমর্থনে এ দিনই বাঘাযতীন থেকে যাদবপুর ৮বি মোড় পর্যন্ত মশাল মিছিল করে আরওয়াইএফ, পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল।