R G Kar Hospital Incident

ফের নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে অধীর, গেলেন আরজি করেও, কথা বলতে হল গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই

শনিবার দুপুরে আরজি কর হাসপাতালে যাওয়ার আগে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতেও যান অধীর। এর আগে গত ১৪ অগস্ট নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৪ ১৪:১৯
Share:

আরজি কর হাসপাতালের সামনে অধীর চৌধুরী। শনিবার দুপুরে। ছবি: সংগৃহীত

আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় এবং রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের কয়েক জনকে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে যান বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানান, এই পরিস্থিতিতে রাজনীতিকদের হাসপাতালের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের আপত্তি রয়েছে। একই ভাবে আপত্তি জানান হাসপাতালের গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরাও। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের গেট থেকেই ফিরতে হয় অধীরকে।

Advertisement

আরজি কর হাসপাতালে যাওয়ার আগে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতেও যান অধীর। এর আগে গত ১৪ অগস্ট নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। নির্যাতিতার বাড়ি থেকে সরাসরি আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছন অধীর। হাসপাতালের গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই তিনি কয়েক জন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। তার পর পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

হাসপাতালের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে অধীর বলেন, “নেতা হিসাবে নয়, সহমর্মী মানুষ হিসাবে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে এসেছিলাম। তাঁদের বলতে এসেছিলাম, আমরা তোমাাদের পাশে রয়েছি।” অধীর জানান অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকদের জল দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি গেটের বাইরে অধীরের সঙ্গে দেখা করে সবিনয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। আরজি কর হাসপাতালের গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অধীর বলেন, “বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। সব ঘটনা ঘটে গেল। ঘরের মেয়েটা অকালে চলে গেল। আর এখন এত পুলিশ, এত ব্যারিকেড। এই কাজগুলি আগে হলে অপরাধের ঘটনা ঘটত না। অধীর এ-ও দাবি করেন যে, নির্যাতিতার পরিবারকে কার্যত গৃহবন্দি করে রেখেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement