—প্রতীকী চিত্র।
সরস্বতী পুজোর দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শিক্ষাঙ্গন। বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং যোগমায়া দেবী কলেজে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যাদবপুরের পুজোয় ‘বহিরাগত’ প্রবেশের অভিযোগ তুলে বাম ছাত্র সংগঠন এআইএসএফ-এর বিক্ষোভের জেরে তেতে ওঠে পরিস্থিতি। অন্য দিকে, যোগমায়া দেবী কলেজে দু’দল পড়ুয়ার মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
যাদবপুরে এ বার দু’টি আলাদা সরস্বতী পুজো করা নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। শেষে একটাই পুজো হয়। বহিরাগত-প্রবেশে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইএসএফের যাদবপুর শাখার আহ্বায়ক জ্যোতির্ময় সেন। আদালতের নির্দেশ ছিল, পুজোর আয়োজনে বহিরাগতেরা অংশ নিতে পারবেন না। আইএসএফের দাবি, সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে ক্যাম্পাসে টিএমসিপির পুজোয় ঢুকতে চান তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা। তাঁরা তখন বাধা দেন।
জ্যোতির্ময় বলেন, ‘‘চুরির দায় যে দলের ঘাড়ে, সেই দলের নেতারা ক্যাম্পাসে ঢুকুন, তা আমরা চাই না।’’ পরে অবশ্য সুদীপ ঢোকেন। পুজোস্থল সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে আসেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, যাদবপুরের টিএমসিপি ইউনিটের সভানেত্রী (এখন প্রাক্তন ছাত্রী) রাজন্যা হালদারও। এ দিন যাদবপুরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তরফেও সরস্বতী পুজো হয়। সেখানে ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শ্রী রামমন্দির উদ্বোধন উদ্যাপন কমিটি’ লেখা ব্যানার দেখা গিয়েছে। দুই পুজোতেই রাজ্যপালের নির্দেশে অপসারিত অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে দেখা গিয়েছে।
অন্য দিকে ডিএসও-র দাবি, যোগমায়া দেবী কলেজে ছাত্রীদের উপর চড়াও হন টিএমসিপির সমর্থকেরা। তাঁদের বেশির ভাগই বহিরাগত। কলেজ সূত্রের খবর, একটি ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত। ডিএসও-র অভিযোগ, কয়েক জন ছাত্রী আহত হয়েছেন। এক জনের পা ভেঙেছে।
যাদবপুরে এআইএসএফ-এর প্রতিরোধ নিয়ে তৃণাঙ্কুর বলেন, ‘‘টিএমসিপির ক্ষমতা বাড়ায় অন্যেরা ভয় পাচ্ছে। ক্যাম্পাসের পুজো আয়োজনে আমি বা সুদীপ ছিলাম না।’’ রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে ফোন এবং মেসেজ করেও কথা বলা যায়নি।
যোগমায়া দেবীর ঘটনা নিয়ে তৃণাঙ্কুরের পাল্টা অভিযোগ, তাঁদেরই ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষা শ্রাবণী সরকার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘অনভিপ্রেত ঘটনা। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’