Bagtui

Rampurhat Clash: এই রায়ে আইনের উপর আস্থা বাড়বে, বললেন, বগটুই-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চাওয়া আইনজীবী

বগটুইয়ের ঘটনার অকুস্থল থেকে থানার দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার। আইনজীবী এডুলজি আদালতে সওয়াল করেছিলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৪৮
Share:

বগটুই-কাণ্ডে অন্যতম মামলাকারী এডুলজি হাই কোর্টের রায়ে খুশি। নিজস্ব চিত্র।

বগটুই-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার রায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু অভিযুক্ত নন, এই ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করা হলে, তাঁকেও গ্রেফতার এবং হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। অর্থাৎ, এই ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছে আদালত। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানালেন মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। ইনিই বৃহস্পতিবারের শুনানিতে সিটের তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন হাই কোর্টে।

Advertisement

শুক্রবার রায়ের পর আইনজীবী এডুলজি বলেন, ‘‘আইনের উপর মানুষের আস্থা অটুট রাখতে হলে বগটুই-কাণ্ডের তদন্তভার অতি সত্বর সিবিআই-কে দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছিলাম। আমাদের আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ের পর আইনজীবী এডুলজি আরও বলেন, ‘‘এ বার আর রাজ্যের তৈরি সিট তদন্ত করতে পারবে না। আমি দাবি করেছিলাম, কেস ডায়েরি-তে কিছু নেই। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরও সিবিআই হেফাজতে দিয়ে দিতে হবে। কারণ, এক জন অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বেশি পুলিশ হেফাজতে দেওয়া যায় না।’’

উল্লেখ্য, বগটুইয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। তা ছাড়া হাই কোর্টও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। হাই কোর্টের নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার যখন সিটের রিপোর্ট এবং কেস ডায়েরি জমা দেয় রাজ্য, সে সময় আইনজীবী এডুলজি এমন কিছু সওয়াল করেন, যাতে স্পষ্টতই বিব্রত হয়ে যান সরকারি পক্ষের আইনজীবীরা। আইনজীবী এডুলজি আদালতে সওয়াল করেছিলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। তাঁর দাবি, বগটুইয়ের ঘটনার অকুস্থল থেকে থানার দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার। তাদের পৌঁছতে দেরি হল কেন? পাশাপাশি, পুলিশের এফআইআর- এ অভিযোগকারীদের সই আছে কি না, এক ঘরের মধ্যে এক সঙ্গে এতগুলো মানুষ কী ভাবে পুড়ে মারা গেলেন, সেই রহস্য উদ্ঘাটনের উপর জোর দেন তিনি। আইনজীবী এ-ও জানান পুলিশের কেস ডায়েরিতে যদি অস্পষ্টতা থাকে, তা হলে সুবিচার মিলবে না। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের পর খুশি তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement