—প্রতীকী চিত্র।
মুখ ঢেকেছে বিজ্ঞাপনে।
রাস্তার ধারে যত্রতত্র রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ছোট-বড় ব্যানার আর হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে দমদম। বছরের বারো মাসই সেই সব বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। ফলে, দৃশ্যদূষণের অভিযোগও ওঠে। এ বার লক্ষ্মীপুজো কেটে গেলেও বড় বড় হোর্ডিং, ব্যানার বহাল তবিয়তে বিরাজমান দমদম রোড, যশোর রোড-সহ দমদমের একাধিক জায়গায়। যদিও দক্ষিণ দমদম এবং দমদম পুরসভা জানিয়েছে, এ বিষয়ে দ্রুত তারা পদক্ষেপ করবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, পুজো শেষ হলেও তার পরপরই বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং কখনওই সরানো হয় না। দমদমের এক বাসিন্দা অলোক সাহার কথায়, ‘‘পুজোর আগে থেকে বিভিন্ন পুজোর ব্যানার, হোর্ডিং পড়ে। সেই পর্ব মিটলে বিজয়ার শুভেচ্ছাবার্তা, তার পরে কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরেও এক ছবি। এর সঙ্গে তো বিভিন্ন অনুষ্ঠান আর মেলার বিজ্ঞাপন লেগেই রয়েছে। কখনও বেশি, কখনও কম।’’ এর আগে নির্বাচনের পরে দ্রুত রাজনৈতিক ব্যানার, হোর্ডিং খুলে পথ দেখিয়েছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অভিজিৎ মিত্র। তিনি জানান, পুজোর মরসুমের পরে হোর্ডিং খোলা হয় বটে, তবে সে ক্ষেত্রে সদিচ্ছার দরকার। বাসিন্দাদের একাংশেরও মতে, বিজ্ঞাপনের দৃশ্যদূষণ রোধে ঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে এই দূষণ রোধে স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয় বলেই তাঁরা জানান।
সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষদের দাবি, পুজোর মরসুমের শেষে হোর্ডিং খোলার কাজে হাত দেওয়া হয়। দক্ষিণ দমদমের এক চেয়ারম্যান পারিষদ জানান, পুজোর মরসুম শেষ হলে হোর্ডিং সরানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। আর দমদম পুরসভা জানাচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়ের পরে ওই হোর্ডিং-ব্যানার সরিয়ে দেওয়ার কাজ হবে।
দমদম এলাকার একটি পুজোর আয়োজকদের দাবি, পুজো মিটে গেলে দ্রুত হোর্ডিং সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও দমদম স্টেশন থেকে শুরু করে নাগেরবাজার মোড়-সহ দমদম এলাকার বিস্তীর্ণ জায়গার বাস্তব চিত্র অন্য কথাই বলছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারপার্সন কস্তুরী চৌধুরী বলেন, ‘‘হোর্ডিং ও ব্যানার সমস্যার সমাধানে পরিকল্পনা করা হবে।’’