দমদম স্টেশন চত্বরে যত্রতত্র পড়ে রয়েছে আবর্জনা। ছবি: চন্দন বিশ্বাস।
স্টেশন থেকে শুরু করে ভূগর্ভস্থ পথ— সর্বত্র একই অবস্থা। কোথাও প্লাস্টিকের প্যাকেট, জলের বোতল, চায়ের কাপের পাহাড় জমেছে, কোথাও আবার পড়ে রয়েছে খাবারের উচ্ছিষ্ট থেকে শুরু করে টিকিটের কাগজ ও ঠোঙা। স্টেশনের বসার জায়গা থেকে শুরু করে ছাউনি বা ওভারব্রিজ, সর্বত্র একই অবস্থা। জমা জলে আরও বেহাল পরিস্থিতি ভূগর্ভস্থ পথে। দীর্ঘ দিন সাফাইকাজ না হওয়ায় নোংরা জলের দুর্গন্ধে ভিতর দিয়ে হাঁটাই দায়!
প্রত্যন্ত কোনও জায়গার স্টেশন নয়, এ চিত্র দমদম স্টেশনের। অভিযোগ, দিন পাঁচেক ধরে স্টেশন চত্বর পরিষ্কার না হওয়ায় ময়লার পাহাড় জমেছে সেখানে। প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে ভূগর্ভস্থ পথ, সর্বত্রই আবর্জনা জমে রয়েছে। যার জেরে প্রতিদিন সমস্যায় পড়ছেন কয়েক হাজার যাত্রী। স্টেশন কেন নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
কিন্তু দমদম স্টেশনের এমন বেহাল অবস্থা কেন? জানা গিয়েছে, স্টেশন চত্বর পরিষ্কার রাখতে বেসরকারি সংস্থা নিয়োগ করে রেল। দরপত্র ডেকে সেই কাজের বরাত দেওয়া হয়। রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, দমদম স্টেশনের সাফাইয়ের দায়িত্ব যে সংস্থার হাতে ছিল, তারা হঠাৎই কাজ বন্ধ করে চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে। তাই দিন পাঁচেক ধরে সাফাইকাজ হচ্ছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে রেলের স্বচ্ছতার উপরে বার বার জোর দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে রেলের বিভিন্ন কর্তার মুখে। স্টেশন চত্বর পরিষ্কার রাখতে বেসরকারি সংস্থাকেও নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও দমদমের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের এমন দুরবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। প্রতিদিন দমদম স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করা নিত্যযাত্রী সাম্য শূর বলেন, ‘‘চার দিকে ময়লা পড়ে রয়েছে। জল জমে রয়েছে। নাকে রুমাল চেপে স্টেশন পেরোতে হচ্ছে।’’
সমস্যার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন শিয়ালদহ শাখার রেলের আধিকারিকেরাও। নতুন করে দরপত্র ডেকে সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, আচমকাছেড়ে চলে যাওয়া বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এক আধিকারিক জানান। তবে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘একটা সমস্যাহয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা হচ্ছে।’’