এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দিন দুয়েক আগেই শয্যার অভাবে রাতভর এসএসকেএমে স্ট্রেচারে পড়েছিলেন এক রোগী। সোমবার ফের সেই এসএসকেএম হাসপাতাল ও শহরের দু’টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক সঙ্কটজনক রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠল। গড়িয়ার বাসিন্দা সুশীল হালদারের (৪৮) নাক, মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ায় সোমবার তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়। সুশীলের পরিবারের অভিযোগ, সেখানে বলা হয়, শয্যা নেই। এর পরে সুশীলকে এন আর এস এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শয্যা মেলেনি। মঙ্গলবার সকালে রোগীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যান তাঁরা। সেখান থেকে রোগীকে এসএসকেএমে ভর্তির জন্য চিঠি লিখে দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে ঢোকানোর সময়ে রোগী অসাড় হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
প্রশ্ন উঠেছে, পয়লা নভেম্বর থেকে এসএসকেএম-সহ পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেও এই হয়রানি কেন? এ দিন এসএসকেএমের সুপার পীযূষ রায় দেখা করেননি। তাঁকে ফোন ও এসএমএস করা হলেও উত্তর দেননি। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অঞ্জন অধিকারী বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’’ এন আর এসের সুপার ইন্দ্রাণী দে বলেন, ‘‘এ বিষয়ে খোঁজ না নিয়ে কিছু মন্তব্য করতে পারব না।’’