প্রতীকী ছবি।
অস্ত্রোপচার করাতে আসা একটি শিশু অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
বছর সাতেকের দিয়া মাহাতোর কপালে ছোট টিউমার হয়েছিল। চিকিৎসক জানান, অস্ত্রোপচার করতে হবে। গত সোমবার শিশুটিকে ভর্তি করা হয় বেহালার এক বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু অভিযোগ, মঙ্গলবার অস্ত্রোপচারের পর থেকে মেয়েটির জ্ঞান ফেরেনি। পরিবারের দাবি, অস্ত্রোপচারের পরে চিকিৎসক জানান, দিয়ার হার্টের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাকে আইসিইউ-তে রাখতে হবে। কিন্তু ওই হাসপাতালে আইসিইউ নেই। তাই দিয়াকে আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলা হয়।
আলিপুরের ওই হাসপাতালের চিকিৎসা-ব্যয় বহন করা সম্ভব ছিল না দিয়ার বাবা-মায়ের পক্ষে। তাঁদের দাবি, হাসপাতাল জানায়, ওই চিকিৎসকই সব খরচ বহন করবেন। এর পরেই দিয়ার পরিজনেরা গিয়ে দেখেন, তার জ্ঞান ফেরেনি। তাঁরা মেয়েকে অন্য হাসপাতালে নিতে রাজি হননি। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় দিয়াকে তার পরিবার আলিপুরের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় দিয়ার মৃত্যু হয়।
পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময়েই চিকিৎসকের ভুলে শিশুটির জ্ঞান ফেরেনি। মৃত্যুর কারণ জানতে তাঁরা বেহালা থানায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি ময়না-তদন্তেরও আবেদন করেছেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক নয়নরঞ্জন চক্রবর্তীর দাবি, অস্ত্রোপচারের আগেই অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়ার সময়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি এর বেশি কিছু জানেন না।