প্রতীকী ছবি।
গল্প ফেঁদেও শেষরক্ষা হল না।
সোমবার দুপুরে এন্টালির মতিঝিলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মহম্মদ শাকিল নামে এক যুবক। তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরিবার অভিযোগ করেছিল, শিয়ালদহ থেকে ফেরার পথে মহম্মদ সিরাজ ওরফে গোর্খা শাকিলকে লক্ষ করে গুলি চালিয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ রাতেই ট্যাংরা থেকে গোর্খাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মতিঝিলের ঠিক কোথায় গোর্খা গুলি চালিয়েছিল, তা জোর দিয়ে বলতে পারেননি শাকিল। ওই এলাকার কোনও বাসিন্দাও গুলিচালনার কথা বলতে পারেননি। তাতেই তদন্তকারীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ফের জেরা শুরু করেন শাকিলকে।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল স্বীকার করে নেন, তিনি নিজের রিভলভারের গুলিতেই জখম হয়েছেন। তাঁকে লক্ষ করে কেউ গুলি চালায়নি। তাই এ বার শাকিলের বিরুদ্ধেই বেআইনি অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করতে চলেছে পুলিশ। কী ভাবে তাঁর হাতে অস্ত্র এল, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
কিন্তু গোর্খার নামে কেন অভিযোগ? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাকিল আর গোর্খা আদতে আত্মীয়। সম্প্রতি পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে গোলমাল এমন চরমে পৌঁছয়। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে দু’জনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
পুলিশের অনুমান, শাকিল প্রথমেই নিজের রিভলভার থেকে গুলি চলার কথা বললে তিনি কোথা থেকে ওই অস্ত্র পেলেন, সেই প্রশ্ন উঠত। বেআইনি অস্ত্র রাখার দায় এড়াতেই তিনি গোর্খার ঘাড়ে দোষ চাপাতে চেয়েছিলেন।