রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল ছবি।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাজেট অধিবেশনের দিন ঠিক হয়েছে বুধবার। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন। প্রায় আধ ঘণ্টা দু’জনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে মমতা রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে রাজ্যপালের প্রশংসাও করেন।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন সেখানে রাজ্যপাল হিসাবে প্রথম ভাষণ দেবেন আনন্দ। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বুধবারই বিষয়টি ঠিক হয়। এর পর বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ মমতা রাজভবনে যান। সেখান থেকে বেরোন সওয়া ৫টা নাগাদ। প্রায় আধ ঘণ্টা তিনি সেখানে ছিলেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল খুবই ভাল। ভদ্র মানুষ। খুবই সুন্দর ব্যবহার করেছেন। আমি মেরি ক্রিসমাস এবং হ্যাপি নিউ ইয়ার জানাতে এসেছিলাম। এটা আমাদের সৌজন্য। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এতই ভাল যে, আর কোনও সমস্যা হবে না। আলোচনা করে আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি সহযোগিতা করছেন। এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’’
নতুন রাজ্যপাল শপথ নেওয়ার দিন থেকে সৌজন্যের খামতি রাখেননি মমতা। শপথগ্রহণের দিন কলকাতার একটি বিখ্যাত দোকানের ১০০টি রসগোল্লা দু’টি নীল হাঁড়িতে করে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন আনন্দ বোসকে। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, জগদীপ ধনখড় জমানার তিক্ততা ভুলে নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে ‘মিষ্টি সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চাইছে নবান্ন। কারণ পূর্বতন রাজ্যপাল ধনখড়ের সঙ্গে প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। বার বার সমাজমাধ্যমে চলেছে কটাক্ষ-পাল্টা কটাক্ষ।
প্রাক্তন আমলা আনন্দ বোসের সঙ্গে সম্পর্কে সেই তিক্ততার ছায়া ফেলতে দিতে চায় না নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সে কারণেই বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় তাঁর। নবান্ন সূত্রের খবর, সৌজন্যরক্ষার জন্যই গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রোটোকল অনুযায়ী, শপথ নেওয়ার পর রাজভবনে গিয়ে নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার সে কারণেই গিয়েছেন তিনি। ধনখড়ের আমল থেকে অনেক বিল আটকে রয়েছে রাজভবনে। এই নিয়ে কি আজ কথা হয়েছে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘‘এই নিয়ে কথা হয়নি। তবে সমাধান হয়ে যাবে।’’
রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যবাসীকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জানান, কোভিড পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তিনি।