—প্রতীকী ছবি
ছটপুজো উপলক্ষে বাড়ির সকলে বিহারে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন পেশায় সিভিক পুলিশকর্মী চন্দনকুমার সিংহ। শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। রাতে সেই ফোনে একটি ভিডিয়োও পাঠান। পরে গভীর রাতে তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করলেন প্রতিবেশীরা! ঘটনাটি ঘটেছে বড়তলা থানা এলাকার উল্টোডাঙা রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, ১৬এইচ/৭ উল্টোডাঙা রোডের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই সিভিক পুলিশকর্মী।
মাস চারেক আগে টালা থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে যোগ দেন চন্দন। আগে একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করতেন। স্ত্রী, বাবা এবং তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে উল্টোডাঙা রোডের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। ছটপুজোয় সকলে বিহারে যাওয়ায় শনিবার একাই বাড়িতে ছিলেন চন্দন। গভীর রাতে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
রবিবার চন্দনের প্রতিবেশী কুন্তিদেবী জানান, রাত প্রায় ৩টে নাগাদ মৃতের স্ত্রী ববিতা ফোন করে চন্দন বাড়ি আছেন কি না, তা দেখতে অনুরোধ করেন। কুন্তীদেবী ঘরের বাইরে থেকে চন্দনকে ডাকতে থাকেন। সে সময়ে ঘরে আলো জ্বললেও কারও সাড়া না পেয়ে দরজায় কড়া নাড়তে যান। দরজা খুলে গেলে কুন্তীদেবী চন্দনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এর পরেই প্রতিবেশীদের ডেকে থানায় খবর দেওয়া হয়।
রবিবার ববিতা ফোনে জানান, সন্ধ্যায় চন্দন তাঁকে বারবার ফিরে আসার জন্য বলেছিলেন। পরে মোবাইলটি তাঁদের বড় মেয়ের কাছে ছিল। রাতে মেয়েই ববিতাকে চন্দনের পাঠানো একটি ভিডিয়ো দেখায়, যেখানে চন্দন আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। তখনই কুন্তীদেবীকে ফোন করেন ববিতা। কিন্তু কী কারণে এই আত্মহত্যা, তা বুঝতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন চন্দনের স্ত্রী। যদিও বড়তলা থানা সূত্রের খবর, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার আত্মঘাতী হয়েছেন। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।