— প্রতীকী চিত্র।
আবার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের এটিএম কার্ড হাতিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ওই বিচারকেরই নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন ছিলেন অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতার ফুলবাগান থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, কলকাতায় বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত দায়রা বিচারক বিশ্বনাথ দে। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন মহম্মদ হাসান গাজি। তাঁর বয়স ৩৫ বছর। মগরাহাট থানায় তিনি নিযুক্ত হলেও অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাঁর এটিএম কার্ড হাতিয়ে নেন হাসান। হাসপাতালের কাছে এক এটিএম থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে নেন তিনি। ফুলবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে ওই এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তার পরেই রবিবার বিকেলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে তারা।
আরজি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে এক চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছে গত ৯ অগস্ট। তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত এখন সিবিআইয়ের হেফাজতে। আরজি করের ঘটনার পর ১০ অগস্ট মধ্যরাতে মত্ত অবস্থায় মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাটি হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এই নিয়ে ভাতার থানায় বিক্ষোভ দেখান চিকিৎসকেরা। স্মারকলিপি জমা দেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে।