CISCE Board

কতটা শিখছে পড়ুয়ারা, দেখতে পৃথক মূল্যায়ন তিন শ্রেণিতে

বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলের অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই তিনটি ক্লাসে পড়ুয়ারা কতটা শিখল, মূলত তা দেখতেই এই মূল্যায়ন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪ ০৭:১৭
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

তৃতীয়, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য এ বার আলাদা ভাবে মূল্যায়ন করার পরিকল্পনা করেছে সিআইএসসিই বোর্ড। বোর্ড সূত্রের খবর, স্কুলের পরীক্ষা যেমন হয়, সেটা হবেই। পাশাপাশি, পৃথক এই মূল্যায়নের মাধ্যমে দেখা হবে, তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে। ২০২৫-এর শিক্ষাবর্ষ থেকেই এটি শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব স্কুলস ফর ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট’ (এএসআইএসসি)-এর পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সচিব তথা হাওড়ার রত্নাকর নর্থ পয়েন্ট স্কুলের অধ্যক্ষ শৈলেশ পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘‘চলতি মাসেই সিআইএসসিই বোর্ডের সচিব জোসেফ ইমানুয়েল কলকাতায় আসবেন। বিস্তারিত উনিই জানাবেন।’’

Advertisement

বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলের অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই তিনটি ক্লাসে পড়ুয়ারা কতটা শিখল, মূলত তা দেখতেই এই মূল্যায়ন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। অধ্যক্ষেরা আরও জানান, জানা গিয়েছে, এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করবে বোর্ড। তবে পরীক্ষা হবে অনলাইনে। পরীক্ষা-পরবর্তী সব কাজও করবে সংশ্লিষ্ট স্কুল। তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের মূল্যায়ন এমন ভাবে হবে, যাতে মনেই হবে না সে পরীক্ষা দিচ্ছে। পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির ক্ষেত্রে মাল্টিপল চয়েস এবং ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে পরীক্ষায় পাশ-ফেল থাকবে না। এমন পরীক্ষা ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন অধ্যক্ষেরা।

ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহা বলেন, ‘‘স্কুলের পরীক্ষার পাশাপাশি এই আলাদা মূল্যায়ন হলে পড়ুয়ারা উপকৃত হবে।’’ অধ্যক্ষদের মতে, জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, মুখস্থ নয়, বরং পাঠ্যক্রমকে বুঝে পড়ে, আত্মস্থ করতে হবে। হাতেকলমে ও ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রয়োগ করে না পড়লে পরী‌ক্ষায় সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর লেখা যাবে না।

Advertisement

উল্লেখ্য, সিআইএসসিই বোর্ডের দশম ও দ্বাদশের প্রশ্নপত্রের ধরন আগের চেয়ে বর্তমানে অনেকটাই পাল্টেছে। তৃতীয়, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পৃথক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তার প্রশ্নও হয়তো সেই ধাঁচেই করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণির সেই পড়ুয়া যখন দশম বা দ্বাদশের পরীক্ষা দেবে, সেখানে প্রশ্ন সম্পর্কে একটি ধারণা তার মনে আগে থেকেই তৈরি হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement