প্রতীকী ছবি
বেহালার সরশুনার হোম নিয়ে রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরকে রিপোর্ট পাঠাচ্ছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ওই হোমে নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠলেও হোমের তরফে তথ্য গোপন করা হচ্ছে। আমরা হোমের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাব নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরে।’’
সপ্তাহ দুয়েক আগে সরশুনার একটি বেসরকারি হোমের পাঁচ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে সেখানকারই এক কর্মী হরিপদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। নদিয়ার বাসিন্দা হরিপদ মেয়েদের তাঁত বোনা শেখাত। নির্যাতিতা নাবালিকাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, গত ১৭ নভেম্বর তাঁত বোনার ঘরে ঠান্ডা পানীয় দেওয়ার নাম করে পাঁচ জন মেয়েকে যৌন হেনস্থা করে হরিপদ। অভিযোগ, সে দিন ওই মেয়েদের মায়ের তরফে ঘটনার প্রতিবাদ করা হলেও হোম কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
ওই ঘটনার পরেই দুই শিশুকন্যাকে হোম থেকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন ধাপার বাসিন্দা এক মহিলা। তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন বছরখানেক আগে। মহিলার কথায়, ‘‘বাড়ি বাড়ি কাজ করে রোজগার করি। ইচ্ছে ছিল, মেয়ে দু’টিকে হোমে রেখে পড়াশোনা শেখাব। কিন্তু ১৭ তারিখের ঘটনা শুনে ভয়ে, আতঙ্কে ওদের বাড়ি নিয়ে চলে এসেছি।’’
হোমের কর্ণধার সুজাতা ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘‘হরিপদর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমাদের পুরনো হোমকে মিথ্যা অপবাদ দিতে চক্রান্ত চলছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মায়েরা কোনও অভিযোগ না করায় পুলিশ হরিপদকে প্রথমে আটক করলেও পরে ছেড়ে দিয়েছিল।’’