(বাঁ দিকে) মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
রাজভবনে গেলেন রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। শুক্রবার দুপুরে তিনি রাজভবনে যান। সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। তবে দু’জনের মধ্যে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাতের’ জন্যই রাজভবনে গিয়েছিলেন পন্থ।
রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই আমলার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের রীতি হয়েছে। ঔপচারিকতা মেনেই এই কাজ করা হয়। মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। তবে রাজভবনের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া ধর্ষণ-বিরোধী ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছেন বোস।
বিলটি পাশ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী তা গিয়েছে রাজভবনে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজভবনের অভিযোগ, বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ পাঠায়নি রাজ্য। যা না থাকলে রাজ্যপাল কোনও বিলেই সম্মতি দিতে পারেন না।
গত ৩১ অগস্ট নবান্নের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হচ্ছেন পন্থ। সদ্য প্রাক্তন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকের মেয়াদ বৃদ্ধিতে দিল্লি অনুমোদন না দেওয়ায় মনোজকেই নতুন মুখ্যসচিব হিসাবে বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৩১ মে মুখ্যসচিব পদে গোপালিকের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তাঁর তিন মাসের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য দিল্লিতে আবেদন জানিয়েছিল নবান্ন। সে বার কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু গোপালিকের দ্বিতীয় বার মেয়াদবৃদ্ধিতে অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার। শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল নবান্ন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তা না হওয়ায় মনোজকেই নতুন মুখ্যসচিব করা হয়।