—প্রতীকী ছবি।
নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো প্রকল্পের অন্তর্গত নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথে বছরখানেক আগেই পরিষেবা শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই মেট্রোপথের বেশির ভাগ অংশের কাজ সম্পূর্ণ হলেও ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পেরিয়ে যশোর রোডের উপরে বেশ কিছু অংশের কাজ জমি সমস্যায় এখনও সম্পূর্ণ করা যায়নি। ফলে, ওই সাত কিলোমিটার মেট্রোপথে পরিষেবা শুরু করা যাচ্ছে না। এখন তাই বাধ্য হয়েই নোয়াপাড়া থেকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার মেট্রোপথে পরিষেবা শুরু করার উপরে জোর দিচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত ওই তিন কিলোমিটার মেট্রোপথ পরিদর্শন করেন মেট্রো রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ রেলওয়ে সেফটি কমিশনার জনককুমার গর্গ। তিনি নোয়াপাড়া ছাড়াও ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন খুঁটিয়ে পরিদর্শন করেন। ওই পথে মেট্রো পরিষেবা শুরু হলে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের মাধ্যমে যাত্রীরা নোয়াপাড়া হয়ে সরাসরি উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো ধরে শহরে চলে আসতে পারবেন।
চিফ সেফটি কমিশনার দুই স্টেশনের প্রবেশপথ, বুকিং কাউন্টার, অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা, এসক্যালেটর ছাড়াও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে নেমে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ উত্তর শাখার যাত্রীরা কী ভাবে মেট্রো স্টেশনে পৌঁছবেন, তা-ও খতিয়ে দেখেন। পরে ওই পথে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন ছুটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। পরিদর্শনের সময়ে মেট্রোর প্রিন্সিপাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার ভি কে শ্রীবাস্তব ছাড়াও অন্য শীর্ষ আধিকারিকেরা ছিলেন। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেলে ওই পথে দ্রুত পরিষেবা শুরু করতে চান কর্তৃপক্ষ।