এ বার কুম্ভমেলা না থাকায় গঙ্গাসাগর মেলাতেই রেকর্ডসংখ্যক ভিড় হবে বলে অনুমান রাজ্য প্রশাসনের। ফাইল চিত্র।
গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সাগরদ্বীপে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৪ জানুয়ারি কলকাতা থেকে সাগরের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। সেখানে থেকে গঙ্গাসাগর মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পারেন তিনি। পাশাপাশি যেতে পারেন কপিলমুনির আশ্রমেও। ৪ তারিখে গঙ্গাসাগরে গিয়ে ৫ তারিখ সেখানকার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে ৬ তারিখ কলকাতা ফিরতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে যাবতীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। তাই জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তা থেকে শুরু করে সভাধিপতি শামিমা শেখ গঙ্গাসাগরে উপস্থিত থাকবেন।
আগামী ১৪ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে পৌষ সংক্রান্তির পুণ্যতিথিতে পুণ্যস্নান করবেন তীর্থযাত্রীরা। এ বার কুম্ভমেলা না থাকায় গঙ্গাসাগর মেলাতেই রেকর্ডসংখ্যক ভিড় হবে বলে অনুমান রাজ্য প্রশাসনের। তাই এক মাস আগে থেকেই মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন। তাই প্রশাসনের প্রস্তুতির শেষ তুলির টান দেখতে গঙ্গাসাগরে হাজির হওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ২১ ডিসেম্বর নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড সংক্রমণ নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। ৮-১৫ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের আগে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় বার বার সাগরদ্বীপ সফরে গিয়েছেন। তা ছাড়াও সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী। তাঁকেও এই মেলা আয়োজনের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার গঙ্গাসাগর মেলা প্রস্তুতি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের আগেই যাতে সাগরদ্বীপকে মেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করে ফেলা যায় সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ওই বৈঠকে।