শুধু তথ্য চুরিই নয়, তা ব্যবহার করে গোপনে রোজ সংস্থার খুঁটিনাটি জেনে ফেলত দুষ্কৃতীরা। সল্টলেকের ৫ নম্বর সেক্টরের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার তথ্য চুরি করে বিদেশের গ্রাহকদের টাকা হাতানোর ঘটনার তদন্তে এ কথা জেনেছে পুলিশ। এই ঘটনায় খড়্গপুর থেকে কুন্দনকুমার রায় নামে আরও এক জন ধরা পড়ল। বুধবার বিধাননগর আদালত তাকে জেল হেফাজত দেয়। বাজেয়াপ্ত হয়েছে পেন ড্রাইভ, মোবাইল, হার্ড ডিস্ক।
তদন্তে পুলিশ জেনেছিল, এই ঘটনায় আগে ধৃতদের মধ্যে দু’জন ২০১৪-র অক্টোবর পর্যন্ত ওই অফিসে কাজ করত। কিন্তু তারা চাকরি ছাড়ার পরেও সংস্থার বিদেশি গ্রাহকদের টাকা হাতানো হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে কুন্দনের নাম মেলে। পুলিশের দাবি, জেরায় কুন্দন জানায়, সংস্থাটির গোপন তথ্য জানত সে। এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ওই সংস্থায় সে-ও কাজ করত। সে-ই ওই সব তথ্য সরবরাহ করত। চাকরি ছেড়ে ফেব্রুয়ারিতে কুন্দন অন্য দুই ধৃতের সঙ্গে একটি সংস্থা খোলে। খড়গপুরে একটি ওই সংস্থার শাখায় কাজ চালাত সে।
তদন্তকারীদের মতে, বাইরে থেকে কোনও সংস্থার পাসওয়ার্ড, এমপ্লয়ি আইডি, স্ট্যাটিক ও ডায়নামিক আইপি জেনে ব্যবহার করলে টের পাওয়া মুশকিল। তাই এই মামলায় সরকার পক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা বিধাননগর পুলিশের দারুণ সাফল্য। ধৃতেরা জেরায় স্বীকার করেছে, চুরি করা তথ্য ব্যবহার করে বাইরে থেকেই বিদেশের গ্রাহকদের টাকা হাতিয়েছেন তাঁরা।’’ বিধাননগরের গোয়েন্দাপ্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুইয়ের দাবি, ‘‘সাইবার জগতে ক্রমাগত যে কৌশল বদলে অপরাধ হচ্ছে, এটা তার একটা নমুনা মাত্র।’’