পুরসভা সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে শহর জুড়ে ৮০টি চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
শহরের বিভিন্ন পার্কিং লটে এ বার তৈরি হবে ব্যাটারিচালিত গাড়ির জন্য চার্জিং স্টেশন। এই বিষয়ে দু’টি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
উল্লেখ্য, শহর দূষণমুক্ত রাখতে ব্যাটারিচালিত গাড়ি ব্যবহারের উপরে জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম পরিবহণমন্ত্রী থাকাকালীন দু’টি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ দফতরের কর্তারাও। শহরে আরও বেশি করে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাতে হলে কী কী পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তা নিয়ে ওই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, শহরের বিভিন্ন পার্কিং লটে ব্যাটারিচালিত গাড়ির জন্য চার্জিং স্টেশন তৈরি করা হবে। পুরসভার পার্কিং দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ব্যাটারিচালিত গাড়ি রাখার পাশাপাশি সেগুলি চার্জ দেওয়ারও সুবন্দোবস্ত থাকবে ওখানে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে শহর জুড়ে ৮০টি চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুরসভার এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে আপাতত ৮০টি চার্জিং স্টেশন তৈরি হবে। আগামী দিনে ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বাড়বে। ব্যাটারিচালিত গাড়ির চার্জিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে সাধারণ মানুষ এমন গাড়ি কেনা ও ব্যবহারের দিকে ঝুঁকবেন। এতে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে শহরের দূষণ কমানো সম্ভব হবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, চার্জিং স্টেশন তৈরির এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই মেয়র পরিষদের বৈঠকে গৃহীত হয়েছে। পুরসভার পার্কিং দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, এই বিষয়ে দু’টি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। তবে রাজস্থানের একটি সংস্থার সঙ্গে পুরসভার কিছু কাজ এখনও বাকি। এই চার্জিং স্টেশনগুলিতে বিদ্যুতের জোগান দেবে সিইএসসি অথবা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম। স্টেশন তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত দু’টিসংস্থা বিদ্যুতের দাম বাবদ পুরসভাকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেবে। পুরসভার এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘পুরো প্রকল্পটি আপাতত পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে চালু হচ্ছে। কেমন সাড়া মিলছে, তার উপরে ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।’’