Khidirpur

চিকিৎসককে সপাটে চড়, প্রসূতি মৃত্যুতে উত্তেজনা একবালপুরের হাসপাতালে

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সিজার করে সন্তানের জন্ম দেন হাওড়ার তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা পিঙ্কি ভট্টাচার্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫৯
Share:

মৃত প্রসূতি। হাসপাতালে উত্তেজনা (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র

ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ। তার জেরে চিকিৎসককে সপাটে চড় মারার অভিযোগ উঠল মৃতার পরিবারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘিরে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই পরিবারের অভিযোগ, কী ভাবে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে, তা না জানিয়েই বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালের একটি সিসিটিভিতে চিকিৎসককে চড় মারার ছবি ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রোগীর পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন চিকিৎসক। ঠিক কী কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে, তা বোঝানোর চেষ্টা করছেন তিনি। তার মধ্যেই আচমকা চেয়ার থেকে উঠে ওই চিকিৎসককে চড় মারছেন এক ব্যক্তি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সিজার করে সন্তানের জন্ম দেন হাওড়ার তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা পিঙ্কি ভট্টাচার্য। তার পর পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের দাবি, সেই সময় পিঙ্কি এবং তাঁর সদ্যোজাত সন্তান দু’জনেই সুস্থ ছিল। কিন্তু বুধবার ভোরের দিকে তাঁদের ফোন করে জানানো হয়, পিঙ্কির অবস্থার অবনতি হয়েছে। রক্তের প্রয়োজন। তখনই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসেন। কিন্তু সকালে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, পিঙ্কির মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

দেখুন ভিডিয়ো:

পিঙ্কির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, কী কারণে মৃত্যু, তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাতে চায়নি। উল্টে বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। কী কারণে মৃত্যু তা না জানার জন্য হাসপাতালের কোনও প্রতিনিধি, নার্স বা চিকিৎসক— কেউ তাঁদের কিছু বলতে চাননি বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন: জেলের মধ্যে দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকে আহত করার চেষ্টা করল বিনয়

আরও পড়ুন: রেষারেষির জের! কোয়মবত্তূরে যাত্রিবাহী বাসে লরির ধাক্কা, মৃত ১৯

হাসপাতালের তরফে পরে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পিঙ্কির মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। এই ঘটনা জানানোর পরেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। চিকিৎসক ও নার্সদের মারধর করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement