Jadavpur University Student Death

যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা বসানো শুরু হল, ক্যাম্পাস, হস্টেলের মোট ১০টি জায়গায় চলবে নজরদারি

যাদবপুরের কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে, আগেই তা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে গত মঙ্গলবার একটি বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:০৯
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশেষে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হল। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসাতে শুরু করেছে। ক্যাম্পাস এবং হস্টেল মিলিয়ে মোট ১০টি জায়গা বাছাই করা হয়েছে। সেখানেই সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। মোট সিসিটিভির সংখ্যা ২৯টি।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সংস্থার ১০ জন সদস্য বৃহস্পতিবার যাদবপুরে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, যাদবপুরের মূল ক্যাম্পাস এবং সল্টলেকের ক্যাম্পাস মিলিয়ে ২৯টি সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। মূল ক্যাম্পাসে বসবে ২৬টি ক্যামেরা।

কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে, আগেই তা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে গত মঙ্গলবার একটি বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যে সংস্থাকে সিসি ক্যামেরা বসানোর বরাত দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিনিধিরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল সেই কাজ।

Advertisement

সিসিটিভি বসানোর ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রতি গেটে দু’টি করে ক্যামেরা বসানো হবে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনও নজরদারিতে গুরুত্ব পেয়েছে। এই সিসি ক্যামেরাগুলিতে ৩০ দিনের মেমরি বা তথ্যধারণ ক্ষমতা থাকবে। মূলত, বিশ্ববিদ্য়ালয়ে প্রবেশ করা গাড়িগুলির নম্বরপ্লেট এবং যাঁরা ঢুকছেন, তাঁদের ছবি ক্যামেরাবন্দি করা হবে। এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বিরোধিতায় তা সম্ভব হয়নি।

গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান। ১০ তারিখ ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, ওই পড়ুয়া র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিতরে-বাইরে কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তখন থেকেই সিসি ক্যামেরার নজরদারির দাবি জোরালো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছিলেন, নজরদারি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য শুধু সিসিটিভি নয়, অন্য সম্ভাব্য বন্দোবস্তও করা হবে। প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা বলেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের মধ্যস্থতায় ইসরো থেকে একটি প্রতিনিধি দল এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং হস্টেল ঘুরে দেখে গিয়েছেন। কী কী প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে ইসরো পরামর্শ দেবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement