জিনিসপত্র ফেলে ভাঙচুর, তাণ্ডব রেস্তরাঁয়

মাস দুই আগে দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে ওই রেস্তরাঁটি খোলেন অর্ণব। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে সেটি। এ দিন ঘটনার সময়ে অর্ণব ছিলেন না। ম্যানেজার আর কয়েক জন কর্মী দোকানে ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০২:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

জিন্‌স-টি শার্ট পরা কয়েক জন যুবক ঢুকল ফাঁকা রেস্তরাঁয়। পরমুহূর্তে তাদের মধ্যে এক জনকে সোজা ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে কিছু একটা বলতে দেখা গেল। তার পরে বেরিয়ে গেল ওই যুবকেরা। তবে যাওয়ার আগে উল্টে দিয়ে গেল একের পর এক টেবিল-চেয়ার।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে এমনই এক ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে লেক থানার অন্তর্গত যোধপুর গার্ডেনের একটি রেস্তরাঁর সিসিটিভি ফুটেজে। ঘটনার পরেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রেস্তরাঁর মালিক অর্ণব চট্টোপাধ্যায়। রেস্তরাঁর ম্যানেজার অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁকে অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিয়েছে অভিযুক্তেরা। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্র দেখানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই যুবকদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

মাস দুই আগে দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে ওই রেস্তরাঁটি খোলেন অর্ণব। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে সেটি। এ দিন ঘটনার সময়ে অর্ণব ছিলেন না। ম্যানেজার আর কয়েক জন কর্মী দোকানে ছিলেন।

Advertisement

ম্যানেজার জানিয়েছেন, বিকেল তিনটে নাগাদ ছয় যুবক রেস্তরাঁয় আসে। প্রথমে কর্মীরা তাদের ক্রেতা বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সেই ভুল ভাঙে কয়েক মিনিটের মধ্যে। অভিযোগ, ওই যুবকেরা রেস্তরাঁয় ঢুকেই মালিক কোথায় জানতে চায়। তিনি নেই শুনে তারা ম্যানেজারকে বলে, ‘‘তোদের মালিককে তুলতে এসেছিলাম।’’ পাশাপাশি ব্যবসা গুটিয়ে চলে যাওয়ার জন্যও হুমকি দিতে থাকে। কর্মীদের আরও অভিযোগ, কেন এ ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে জিজ্ঞাসা করতেই অভিযুক্তেরা রেস্তরাঁর টেবিল-চেয়ার উল্টে দেয়। ভাঙচুর করা হয় এক দিকের কাচের দেওয়াল।

হুমকি এবং ভাঙচুরে ভয় পেয়ে ম্যানেজার ফোন করেন অর্ণবকে। তিনি তড়িঘড়ি লেক থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনার পরে ওই রেস্তরাঁর কর্মচারীরা আতঙ্কে বাড়ি চলে যেতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন অর্ণবের ভাই। তিনি বলেন, ‘‘কর্মীরা সকলেই বাইরের। ঘটনার পরে তাঁরা কাজ ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন।’’

অভিযুক্তেরা কারা? মালিকপক্ষ জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁরা ওই যুবকদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, পুরনো কোনও আক্রোশ থেকেও এমন ঘটে থাকতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement