(বাঁ দিকে) ‘কালীঘাটের কাকু’। (ডান দিকে) প্রেসিডেন্সি জেলে প্রবেশ করছে সিবিআইয়ের গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিজেদের হেফাজতে নিতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গেল সিবিআই। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে প্রবেশ করেছে। রাতেই ‘কালীঘাটের কাকু’কে হেফাজতে নিতে পারবে কি না, জল্পনা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশের পরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নিতে জেলে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এর আগে আদালত বার বার সুজয়কৃষ্ণকে সশরীরে হাজির করানোর কথা বলেছে। যদিও অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাজির করানো যায়নি। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি অসুস্থ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হতে পারে ‘কালীঘাটের কাকু’র। কিন্তু আদালতের নির্দেশমাফিক মেডিক্যাল বোর্ড এখনও গঠন করা সম্ভব হয়নি। সে ক্ষেত্রে বুধবার সকাল পর্যন্ত সিবিআই অপেক্ষা করবে না কি, রাতেই ‘কালীঘাটের কাকু’কে নিজেদের হেফাজতে নেবে, সেটাই দেখার।
বস্তুত, নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্সি জেলেই রয়েছেন। জেলের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তখন তিনি কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়েছিলেন। মঙ্গলবার সুজয়কৃষ্ণকে বসে হাজিরা দিতে দেখা গিয়েছে। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
বিচার ভবনে বিশেষ সিবিআই আদালতে সুজয়কৃষ্ণের মামলার শুনানি ছিল। অভিযুক্তকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো হয়েছিল শুনানিতে। তাঁর আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন করেন। যদিও সিবিআই সেই আবেদনের বিরোধিতা করে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চায়। সেই আবেদন মেনে আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণকে সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে বিচার ভবন। বিচারকের নির্দেশ, সুজয়কৃষ্ণকে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে সেখানে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। প্রতি দিন অন্তত এক ঘণ্টার জন্য আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন তিনি। তবে সিবিআই যখন জেরা করবে, তখন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না তিনি।