নিয়োগ মামলায় জেলবন্দি অপসারিত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। — ফাইল ছবি।
তৃণমূলের অপসারিত যুবনেতা জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের দুই সহবন্দিকে জেরা করবে সিবিআই। শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই সংক্রান্ত আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। এর ফলে প্রেসিডেন্সি জেলে কুন্তলের দুই সহবন্দিকে জেরা করতে আর অসুবিধা রইল না সিবিআইয়ের।
হেফাজতে নিয়ে তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে। চাপ দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিতে। চিঠি লিখে একদা এই অভিযোগই করেছিলেন কুন্তল। সেই প্রেক্ষিতেই এ বার কুন্তলের সঙ্গেই জেলের একই সেলে থাকা দুই সহবন্দিকে জেরা করবে সিবিআই। তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করবেন, কুন্তল চিঠিতে যে বিষয়গুলি লিখেছিলেন, সে কথা তিনি সহবন্দিদের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন কি? বিচারাধীন দুই বন্দিকে জেরা করে এ বার তা-ই জানার চেষ্টা করবে সিবিআই।
গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে চাপ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পর পরই কুন্তল দাবি করেন, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন তিনি। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠান হেস্টিংস থানাতে। এ নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিংহও। তার পর গত ২০ মে অভিষেককে ডেকেছিল সিবিআই। সে দিন সাড়ে ন’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।
কুন্তলের সেই চিঠি বিতর্কে গত ৯ জুন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকে তলব করেছিল সিবিআই। সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলের চিকিৎসকও। এ ছাড়াও কুন্তলের স্ত্রী এবং শ্যালককেও জেরা করা হয়েছিল। এ বার সেই চিঠি তদন্তেই জেলে কুন্তলের সহবন্দি দুই বিচারাধীনকেও জেরা করবে সিবিআই।
শুক্রবার কুন্তলকে আগামী ৮ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।