গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সিজিও কমপ্লেক্সে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ পরীক্ষা শুরু করল সিবিআই। সোমবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো সকালেই সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান সন্দীপ। সূত্রের খবর, সোমবার সেখানেই পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হচ্ছে তাঁর।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন সন্দীপ। ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই বেশ কয়েক জনকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাঁরা। সেই তালিকায় রয়েছেন সন্দীপও। গত ১৬ অগস্ট থেকে প্রতি দিনই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। শুধু রবিবার সিবিআই দফতরে আসেননি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে সন্দীপদের বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু দেখা যায়, কয়েক জন নিজেদের বয়ান বার বার বদল করেছেন। তাতে তদন্তে ক্ষতি হচ্ছে। তাই সত্য জানতে সন্দীপ-সহ সাত জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। আদালত গত শুক্রবার সাত জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমতি দেয়। সোমবারের মধ্যে সকলের পলিগ্রাফ পরীক্ষা শেষ করতে বলেছিল আদালত।
শনিবার থেকেই পলিগ্রাফ পরীক্ষার তোড়জোড় শুরু করে সিবিআই। পলিগ্রাফ পরীক্ষার জন্য দিল্লি থেকে বিশেষ দলও আসে। আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া বাকিদের পলিগ্রাফ পরীক্ষা সিজিও কমপ্লেক্সেই করানোর সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারীরা। শনিবার থেকে ধাপে ধাপে পলিগ্রাফ পরীক্ষা চলছে। সূত্রের খবর, শনিবার অন্যান্যদের পলিগ্রাফ পরীক্ষা প্রক্রিয়া শুরু হলেও সন্দীপের হয়নি। রবিবার সকালে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের একটি দল তাঁর বাড়ি গিয়েছিল। রাত পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তদন্তকারীরা। সেই জন্য রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে পারেননি সন্দীপ। তাই সোমবার তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা শেষ করাতে চাইছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন সন্দীপ-সহ মোট সাত জন। তাঁরা গোয়েন্দাদের যা বলছেন, তা সত্য কি না, জানার জন্য পলিগ্রাফ পরীক্ষা করতে চেয়েছে সিবিআই। তবে এই পরীক্ষার ফলাফলে যা মিলবে, তা আদালতে প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য হবে না। তদন্তের সুবিধার্থে এই পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে। এই ধরনের পরীক্ষার জন্য যাঁর পরীক্ষা করানো হচ্ছে, তাঁর সম্মতিও প্রয়োজন। পলিগ্রাফ পরীক্ষাকে কেউ কেউ ‘লাই ডিটেক্টর’ পরীক্ষাও বলে থাকেন।