CV Ananda Bose

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় ‘না’ কলকাতা হাই কোর্টের

আবেদনকারীর বক্তব্য, রাজ্যপাল নিয়ে পুলিশ কেন বিভিন্ন মন্তব্য করছে? সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের নিজস্ব রক্ষাকবচ রয়েছে। তার পরেও কোনও কিছু প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও তাঁর সম্মানহানি করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ১৭:০৬
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগের বিরুদ্ধে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা ফেরাল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে আবেদনকারীর বক্তব্য, রাজ্যপাল নিয়ে পুলিশ কেন বিভিন্ন মন্তব্য করছে? সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের নিজস্ব রক্ষাকবচ রয়েছে। তার পরেও বিনা প্রমাণে তাঁর সম্মানহানি করা হচ্ছে। তাঁর আইনজীবী তীর্থঙ্কর দে-র সওয়াল, কোনও অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতাদের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিক আদালত।

প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বৃহস্পতিবার জানান, এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় না। আদালত এখন কোনও ভাবেই বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। প্রসঙ্গত, গত ২ মে রাজভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মী হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু রাজ্যপাল সংবিধানের রক্ষাকবচ পান। তাই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ফৌজদারি তদন্ত করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে তাই পুলিশের কী করণীয়, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল।

Advertisement

রাজ্যপাল বোস আগেই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ভোটের বাজারে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হচ্ছে। এর পর রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করে সেখানে পুলিশের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেন রাজ্যপাল। লালবাজার জানায়, কোনও ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে নয়, একটি ঘটনার অভিযোগের অনুসন্ধান করছে পুলিশ। সেই স্বার্থে চেয়ে পাঠানো হয় রাজভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। এখনও পুলিশ তা পায়নি। এর মাঝেই বুধবার রাজভবন জানায়, তারা সে দিনের ফুটেজ জনসাধারণকে দেখাবে। কেবল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পুলিশ ফুটেজ দেখতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছে রাজভবন। ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের সেই ফুটেজ দেখেছে আনন্দবাজার অনলাইনও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement