Junior Doctors' Movement

পুজোর কার্নিভাল থেকে ধৃত চিকিৎসক তপোব্রতের বিরুদ্ধে আপাতত তদন্ত নয়, স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট

কেন চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে কার্নিভাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা মঙ্গলবার জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। তিনি এ-ও নির্দেশ দেন যে, এই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে জানাতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ২০:০৯
Share:

চিকিৎসক তপোব্রত রায়। — ফাইল চিত্র।

পুজোর কার্নিভাল থেকে ধৃত চিকিৎসক তপোব্রত রায়ের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুরসভার ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি শম্পা দত্ত (পাল)-এর এজলাসে ছিল এই সংক্রান্ত মামলা। কেন ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জানতে চান বিচারপতি। তিনি এ-ও নির্দেশ দেন, এ বিষয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে।

Advertisement

গত ১৫ অক্টোবর রেড রোডে হয়েছিল দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। সেখানে কলকাতা পুরসভার একটি মেডিক্যাল টিম কাজ করে। ওই দলে ছিলেন পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত। সেই সময় ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’ করছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন জানিয়ে বুকে ‘প্রতীকী অনশনকারী’ লেখা ব্যাজ পরে কার্নিভালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তপোব্রত। এর পর তাঁকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই রাতে তাঁকে জামিনে মুক্তিও দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তপোব্রত। সেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েক। মঙ্গলবার বিচারপতি দত্ত (পাল) তপোব্রতের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করলেন।

গ্রেফতারির পর তপোব্রতের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকেরা। ওই চিকিৎসকদের দাবি ছিল, তপোব্রতের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে হবে পুরসভাকে। যে হেতু তিনি পুরসভার হয়ে কাজ করার সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাই তাঁকে তাদের পক্ষ থেকে সব রকমের আইনি সহায়তা দিতে হবে। এর পাশাপাশি প্রথমে তাঁরা দাবি করেছিলেন যে, তপোব্রতকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে। পরে সেই দাবি থেকে সরে আসেন তাঁরা। প্রথম দুই দাবি নিয়ে পুরসভা অভিযান করেন আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)-র সদস্যেরা। শেষ পর্যন্ত পুরসভার পক্ষ থেকে তপোব্রতকে আইনি সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয় বলে জানায় আইএমএ। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement