ভুল করে অ্যাপ-ক্যাবে নিজের দামি মোবাইল ফেলে এসেছিলেন এক যুবক। অভিযোগ, সেই ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে ওই গাড়ির চালক ও মালিকের হাতে আক্রান্ত হলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই যুবক ও তাঁর এক সঙ্গীকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে তাঁদের কাছ থেকে আরও একটি দামি মোবাইল ও সোনার চেন কেড়ে নেওয়া হল বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য গ্রেফতার করা হয় অ্যাপ-ক্যাবের চালক ও মালিককে।
গত রবিবার, ১৩ তারিখ রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া ময়দানের কাছে মল্লিকফটক এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অ্যাপ-ক্যাবের যে যাত্রীর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে তাঁর নাম অ্যান্দ্রে মাইকেল ড্র্যাগউইজ। একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী কলকাতার বেলিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা আন্দ্রের অভিযোগ, কিড স্ট্রিট থেকে বালিগঞ্জ যাওয়ার জন্য অ্যাপ-ক্যাব বুক করেন তিনি। বালিগঞ্জের গুরুসদয় দত্ত রোডে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামার পরে খেয়াল হয়, দামি মোবাইলটি গাড়িতেই ফেলে এসেছেন। ক্যাবের স্লিপ থেকে গাড়ি চালকের নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন করেন ওই যুবক। চালককে মোবাইলটি ফেরত দিতে বলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, হাওড়ার মল্লিকফটকের বাসিন্দা রাধেশ্যাম যাদব নামে ওই ক্যাব চালক প্রথমে জানিয়েছিলেন, মোবাইলটি তাঁর কাছে নেই। মোবাইলটি তিনি তাঁর অফিসে জমা দিয়েছেন বলে জানান। অভিযোগ, ওই রাতেই গাড়ির মালিক চন্দন রাই আন্দ্রেকে হাওড়ার মল্লিকফটক এলাকায় ডেকে পাঠান। পুলিশ জানায়, এক বন্ধুকে নিয়ে আন্দ্রে বেনিয়াপুকুর থেকে হাওড়ার মল্লিকফটকে আসেন। সেখানে চন্দনের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, এর পরে হাওড়া জেলের পিছনে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই দুই যুবককে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করেন রাধেশ্যাম ও চন্দন। রডের আঘাতে মাথা ফেটে যায় আন্দ্রের। আহত হন তাঁর সঙ্গীও। আন্দ্রের ওই সঙ্গীর দামি মোবাইল ও সোনার হার ছিনতাই করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাওড়া সিটি পুলিশ জানায়, ঘটনার পরেই পালায় অভিযুক্তেরা। সোমবার রাতে গাড়ির চালক ও মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় দু’টি মোবাইলও। বাজেয়াপ্ত করা হয় গাড়িটি।