বাইপাস সংলগ্ন রাস্তা বেহাল

পিচের আস্তরণ উঠে মাটি বেরিয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝে ছোট-বড় গর্ত। গাড়ি চলে নৌকার মতো দুলে দুলে। একটু বৃষ্টিতেই রাস্তা দিয়ে হাঁটা-চলা বিপজ্জনক হয়ে যায়। উন্নয়নের বিভিন্ন কাজে রাস্তা খোঁড়া হলেও ঠিকমতো মেরামত হয় না। ফলে রাস্তার কোনও অংশ উঁচু, কোনও অংশ নীচু হয়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের এমনই অভিযোগ, ইএম বাইপাস সংলগ্ন মুকুন্দপুর, মাদুরদহ, যমুনা নগর, অহল্যা নগর, পূর্বালোক এলাকার বিভিন্ন রাস্তা সম্পর্কে।

Advertisement

দেবাশিস দাস

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০০
Share:

এ পথেই যাতায়াত।

পিচের আস্তরণ উঠে মাটি বেরিয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝে ছোট-বড় গর্ত। গাড়ি চলে নৌকার মতো দুলে দুলে। একটু বৃষ্টিতেই রাস্তা দিয়ে হাঁটা-চলা বিপজ্জনক হয়ে যায়। উন্নয়নের বিভিন্ন কাজে রাস্তা খোঁড়া হলেও ঠিকমতো মেরামত হয় না। ফলে রাস্তার কোনও অংশ উঁচু, কোনও অংশ নীচু হয়ে রয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের এমনই অভিযোগ, ইএম বাইপাস সংলগ্ন মুকুন্দপুর, মাদুরদহ, যমুনা নগর, অহল্যা নগর, পূর্বালোক এলাকার বিভিন্ন রাস্তা সম্পর্কে। বাসিন্দা অমর রায়ের কথায়: “বহু দিন এলাকার রাস্তাগুলির সংস্কার দেখিনি।” কয়েক বছরে ইএম বাইপাস সংলগ্ন এই সব এলাকায় বসতি ব্যাপক হারে বেড়েছে। বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যাও।

ফলে চাপ বাড়ছে রাস্তার উপরে। অথচ রাস্তার বেহাল অবস্থা। এর জন্য হামেশাই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। তাঁদের দাবি, পুর প্রতিনিধিদের বার বার এই সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি।

Advertisement

রাস্তার দু’পাশে রয়েছে দখলদারির সমস্যাও। অভিযোগ, রাস্তার দু’ধারে দিনের পর দিন স্তূপ করে ফেলে রাখা হয় ইমারতি দ্রব্য। বাসিন্দারা জানান, এলাকার রাস্তা ভাঙাচোরা হলেও বেশিরভাগ রাস্তাই যথেষ্ট চওড়া। কিন্তু ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখায় রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যায়। এক এক সময় পরিস্থিতি এমন হয় যে দু’টি গাড়ি পাশাপশি যেতে পারে না।

রাস্তায় ডাঁই করা রয়েছে বালি ও পাথরকুচি।

এই সব সমস্যা প্রসঙ্গে স্থানীয় একটি আবাসন সমিতির সহ-সম্পাদক জয়ন্ত রায় বলেন, “রাস্তা সারানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছি।” এই এলাকা কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ছে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমকি দাস জানান, এখানে একটি পাম্পিং স্টেশন হচ্ছে। এর জন্য বিভিন্ন রাস্তা খুঁড়তে হয়েছে। সামনের বছরে পাম্পিং স্টেশনের কাজ শেষ হবে। রাস্তার দু’পাশে দখলদারি সমস্যা নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “এই নিয়ে বাসিন্দারা আমার কাছে কোনও অভিযোগ করেননি।”

রাস্তার এই বেহাল দশা প্রসঙ্গে ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের দীপু দাসঠাকুর বলেন, “গত চার বছর উন্নয়নের জন্য এই বরোর কাউন্সিলরদের সমান ভাবে টাকা ভাগ করে দিয়েছি। তার পরেও না হলে আমার কিছু করার নেই।” পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু রাস্তা কেএমডিএ-র রয়েছে। পুরসভার অধীনে থাকা রাস্তার সারাইয়ের কাজ চলছে।” নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কেএমডিএ-র এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, “ওই এলাকায় কোন কোন রাস্তা আমাদের আওতায় রয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement