রাস্তায় বেপরোয়া যানবাহনের অভাব নেই। আবার সতর্কীকরণও থাকে এখানে-সেখানে, বাস-মিনিবাসের ভিতরে। তবু বাস-দুর্ঘটনায় ফের নিজের অসতর্কতায় আহত হলেন এক যাত্রী। পুলিশ জানায়, রবিবার বিকেলে ওই বাস-দুর্ঘটনায় আহত এক যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, বসিরহাট-ধর্মতলা রুটের একটি বাসের পিছন দিকের আসনে বসে ছিলেন ওই যুবক। মৌলালি যুব কেন্দ্রের সামনে একটি বাতিস্তম্ভের সঙ্গে তাঁর মাথা ঠুকে যায়। জ্ঞান হারান তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ওই যুবক থুতু ফেলার জন্য বাসের জানলা দিয়ে মাথা বার করেছিলেন। তখনই বাতিস্তম্ভে ঠুকে যায় তাঁর মাথা। রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে। চালক ও কনডাক্টর পলাতক। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বাসটি দ্রুত অন্য বাসকে ওভারটেক করতে চাইছিল।
প্রায় প্রতিটি বাসেই লেখা থাকে, ‘জানলার বাইরে হাত রাখবেন না’, ‘জানলা দিয়ে মাথা বা শরীরের অন্য কোনও অংশ বার করবেন না’ ইত্যাদি। কিন্তু এই সব সতর্কবাণীকে অনেকেই যে আমল দেন না, বারবার তার প্রমাণ মিলছে। গত বুধবার হাওড়ায় বাসের জানলার বাইরে হাত বার করে রেখেছিল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। অন্য একটি বাসের সঙ্গে হাত ঘষে যায় তার। ২০০৯ সালে ডাফরিন রোডে দু’টি বাসের টক্করে হাত খোয়া যায় তিন যাত্রীর। তিন জনেই জানলার বাইরে হাত বার করে রেখেছিলেন। ’০৫ এবং ’০৮ সালেও দু’টি ঘটনায় হাত কাটা যায় দুই যাত্রীর। বাসযাত্রীদের অসতর্কতার সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন রবিবারের দুর্ঘটনা।