হাসপাতালে বসে বারবার ভগবানকে ধন্যবাদ দিচ্ছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা পায়েল চৌধুরী, রাবিয়া বেগমেরা। কিছুক্ষণ আগেই যে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তাঁরা। শনিবার যে বাসে করে যাচ্ছিলেন ওঁরা, সেটা একটুর জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে নীচেই পড়ছিল, হঠাৎ রাস্তার উপরে উল্টে যায় বাসটি। পায়েল, রাবিয়াদের মতো আরও সাত জন যাত্রী আহত হয়েছেন ঠিকই, আরও বড় কিছু ঘটেনি।
শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রফুল্লনগর সিসিআর সেতুর উপরে এ ভাবেই উল্টে যায় ধূলাগড়-নয়াবাদ রুটের যাত্রী বোঝাই একটি বাস। এর জেরে ওই রাস্তা প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঘটনার পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আহতদের কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও পায়েল, রাবিয়ারা ভর্তি।
যাত্রীরা জানান, দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পরে ঠিক গতিতেই চলছিল বাসটি। বাসে প্রায় ২৫ জন যাত্রী ছিলেন। আচমকা দেখা যায় পিছনে একই রুটের আর একটি বাস চলে এসেছে। তখনই হঠাৎ সামনের বাসের গতি বেড়ে যায়। যাত্রীরা ভয়ে বেশ কয়েক বার আস্তে চালানোর অনুরোধ করলেও তাতে কান দেননি চালক। প্রফুল্লনগরে সিসিআর সেতুর উপরে উঠতেই ঘটে বিপত্তি। বাসটি সজোরে সেতুর গার্ডওয়ালে ধাক্কা মেরে বেশ কয়েক মিটার ঘসটে যাওয়ার পরেই রাস্তার ডান দিকে উল্টে যায়। অভিযোগ, তখনই চালক ও কন্ডাক্টর বাস থেকে লাফ দিয়ে পালান। ঘটনাস্থলের কাছেই রাস্তায় রয়েছে বড় একটি গর্ত।
পুলিশের অনুমান, তীব্র গতিতে যাওয়ার সময়ে বড় গর্তে চাকা পড়তেই বাসটির পিছন দিকের একটি যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। তাতেই বাসের নিয়ন্ত্রণ হারান চালক।