মেট্রোর দাবি, বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ। —ফাইল চিত্র।
কলকাতায় মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের কাজ চলতি অর্থবর্ষে কী গতিতে এগোবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। কারণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের এ বারের বাজেট বক্তৃতায় রেলের বিষয়ে বিশেষ কিছু উল্লেখ মেলেনি। হাতে গোনা দু’বার রেলের প্রসঙ্গ এসেছিল তাঁর মুখে। তবে কলকাতা মেট্রোর তরফে দাবি করা হচ্ছে, পর্যাপ্ত বরাদ্দ মিলেছে তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য। জোকা-এসপ্ল্যানেড, দমদম বিমানবন্দর-কবি সুভাষ ও নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য মোট তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে চলতি অর্থবর্ষে।
পাটিগণিতের হিসাবে তিনটি প্রকল্প মিলিয়ে গত আর্থিক বছরের থেকে বরাদ্দের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই তিনটি মেট্রো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল তিন হাজার ১৭০ কোটি টাকা। হিসাব মতো মাত্র ৩০ কোটি টাকা বর্ধিত হয়েছে চলতি অর্থবর্ষে। দমদম বিমানবন্দর-কবি সুভাষ লাইন ছাড়া বাকি দু’টি লাইনেই মেট্রোর প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ কমেছে। দমদম বিমানবন্দর-কবি সুভাষ লাইনে গত অর্থবর্ষে বরাদ্দ করা হয়েছিল এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। এ বার তা বাড়িয়ে বরাদ্দের অঙ্ক হয়েছে এক হাজার ৭৯১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
তবে নোয়াপাড়া-বারাসত লাইনে মেট্রোর সম্প্রসারণের জন্য গত আর্থিক বছরে বরাদ্দ ছিল ৬২০ কোটি টাকা। এ বছর তা কমে হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। এ বার কিছুটা কমে এক হাজার ২০৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো প্রকল্প।
প্রসঙ্গত, জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। মাঝেরহাটে পর থেকে বাকি অংশটুকুর কাজও দ্রুত শেষ করতে উদ্যোগী মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত কাজও ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ে সেফটির মুখ্য কমিশনার। নোয়াপাড়া-বারাসত লাইনের এই অংশের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা দ্রুত চালু করা যাবে বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রোর তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পর্যাপ্ত বরাদ্দ মিলেছে। শুধু সম্প্রসারণের কাজই নয়, সঙ্গে যাত্রী সুরক্ষা, পরিকাঠামো ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দের জন্যও এই বরাদ্দ অর্থ ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো।