মেয়েকে বড় জামাইয়ের কাছে বেলুড়ে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে গত ডিসেম্বরে অপহৃত হয়েছিলেন শ্বশুর। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় বড় জামাই প্রদীপ ঘোষকে। তাকে জেরা করে একে একে গ্রেফতার করা হয় প্রদীপের কয়েক জন বন্ধুকে। সেই অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ বার গ্রেফতার করা হল বোলপুরের এক হোমগার্ডকে। ধৃতের নাম নুরুল হুদা। সোমবার রাতে, বোলপুরের নজরুল পল্লি থেকে।
পুলিশ জানায়, নুরুল বোলপুর ইএফ (ইমারজেন্সি ফোর্স)-এ কর্মরত ছিল। অপহৃত দুর্গাপুরের বাসিন্দা তপন দাসকে উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বোলপুরে আটকে রয়েছেন তিনি। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মীকে অপহরণের মূল কারণই ছিল টাকা হাতানো। কেননা, চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল প্রদীপ ও তার মূল সঙ্গী করিম শেখ।
তপনবাবুকে উদ্ধারের পাশাপাশি করিম-সহ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল বালি থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছিল, তপনবাবুকে বোলপুরে কোথায় আটকে রাখা হবে তার পরিকল্পনা করেছিল নুরুলই। হোমগার্ডের চাকরি করায় বিভিন্ন জায়গায় তার যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্রেই হোটেল, বাড়ি এবং গাড়ির ব্যবস্থা করেছিল ওই যুবক। ধৃতেরা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, শক্তিগড় বাস থেকে নামার পরে তপনবাবুকে জোর করে অন্য গাড়িতে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল নুরুলের। প্রদীপ এবং করিমের মতো নুরুলও চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়েছিল। পুলিশ জানায়, পরিকল্পনা ছিল তপনবাবুর থেকে যে টাকা পাওয়া যাবে, তার একটা কমিশনও নেবে ওই হোমগার্ড।