ফাইল চিত্র।
উল্টে পড়ে আছে সোফা, ভেঙে গিয়েছে চেয়ার, টুকরো টুকরো ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক। মঙ্গলবার সল্টলেকের বি জে ব্লকে বিজেপি-র বিধাননগর পুর নির্বাচনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এমনই দশা করেছে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় কার্যালয়ে উপস্থিত কর্মীদের। বাদ পড়েননি মহিলারাও। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। এ দিন ঘটনার পরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ওই ব্লকে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ঘটনার প্রতিবাদে আজ, বুধবার বিধাননগর (পূর্ব) থানার সামনে অবস্থানের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আগামী ১২ তারিখ বিধাননগরে পুরভোট। সল্টলেকের বি জে-১৯৩ নম্বর বাড়িতে পুরভোটের কেন্দ্রীয় দফতর করেছে বিজেপি। দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, এ দিন বিকেলে ওই বাড়ির একতলায় ঢুকে ঘর ভাঙচুর ও তছনছ করে দুষ্কৃতীরা। চেয়ার, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক ভেঙে দেওয়া হয়। অভিযোগ, রিভলভারের বাট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা উত্তর শহরতলির জেলা যুব মোর্চার সম্পাদক প্রসূন রাহার। এ দিন বিকেলেই ঘটনার খবর টুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দাবি, পুরভোটের আগে ‘তৃণমূলের গুন্ডারা’ ভয় দেখানোর কৌশল নিয়েছে। এর পরে রাতে সল্টলেকে পৌঁছে প্রথমে ওই কার্যালয়ে যান শুভেন্দু। সেখান থেকে যান বিধাননগর (পূর্ব) থানায়। পুলিশকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানান, থানার সামনে অবস্থানের পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে ৪ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর কমিশনারেট অভিযান করা হবে।
বিজেপি-র তরফে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা অনুপম ঘোষ জানান, রিভলভার নিয়ে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘বিধাননগরে পরের পর হামলা চলছে আমাদের উপরে। ২৯, ৩১-সহ যে সব ওয়ার্ডে আমাদের উপরে হামলা চলছে, সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে। পুরভোটে আমাদের অবস্থা খুব ভাল ওই সব ওয়ার্ডে। তাই ভয় দেখাতে তৃণমূল এ সব করছে।’’
সল্টলেকের কোনও তৃণমূল নেতা-নেত্রী এ দিনের ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। বারাসত সংসদীয় জেলার সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি-র ভিতরেই মুষলপর্ব চলছে। প্রচারে থাকতে কার্যালয় ওরাই ভেঙেছে। বিধাননগরে আমরা এমনিই জিতব। আমাদের গোলমাল করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’