অবশেষে চালু হচ্ছে বাইক-ট্যাক্সি। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাসেই নিউ টাউনে পরীক্ষামূলক ভাবে বাইক-ট্যাক্সি পরিষেবা চালু হবে। সেই লক্ষ্যে ১৭টি বাইককে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার লাইসেন্স দিয়েছে পরিবহণ দফতর।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, গত জুলাইয়ে বাইক-ট্যাক্সিকে আইনি বৈধতা দেয় সরকার। ঠিক হয় বাইক-ট্যাক্সির ‘পাইলট’ প্রকল্প হবে নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ওয়ান এবং টু-তে। সফল হলে প্রকল্প ছড়িয়ে দেওয়া হবে কলকাতা, বিধাননগর ও হাওড়ায়। মূলত গলি-ঘুপচি এলাকায় যাত্রী নিয়ে যেতে বাইক-ট্যাক্সি উপযোগী হবে বলে মত পরিবহণ কর্তাদের। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘একটি সংস্থার অধীনেই ১৭টি বাইক রয়েছে। অন্য এক সংস্থাও আগ্রহ দেখিয়েছে। তারাও লাইসেন্সের জন্য আর্জি জানাবে।’’ যে সংস্থা ১৭টি বাইকের লাইসেন্স পেয়েছে, তাদের পরিবহণ দফতরের বারাসত অফিস থেকে নিউ টাউনে চালানোর জন্য পারমিট নিতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, বাইক-ট্যাক্সি কতটা নিরাপদ? বাইকওয়ালাদের কারা বেছে নিচ্ছেন, কারাই বা নজরদারি করছেন? পরিবহণ-কর্তাদের দাবি, সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার দিকে। বাইক চালককে নিয়োগের আগে বিস্তারিত খতিয়ে দেখছে সরকার নির্দিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থা। বাইক চলাফেরার রেকর্ড রাখবে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। বাইক পরিষেবার অ্যাপেই থাকবে ‘প্যানিক বাটন’। যাত্রীর সঙ্গে সংস্থার, পুলিশের ও তাঁর ঘনিষ্ঠ দু’জনের নম্বর থাকবে। বিপদে পড়লে বাটন টিপলেই খবর পৌঁছবে ওই নম্বরগুলিতে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চালকের ব্যবহার ভদ্র হতে হবে। দিতে হবে পরিষ্কার হেলমেট।