প্রতীকী ছবি।
দুই বন্ধু মিলে মোটরবাইকে চেপে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। রবিবার রাতে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে স্ট্র্যান্ড রোডে বেপরোয়া গতিতে চলা মোটরবাইকটি পিছলে গিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। পুলিশ জানিয়েছে, চালক ও আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়েন। সেই সময়ে পিছন থেকে এসে একটি ভারী গাড়ি চালকের শরীরের উপর দিয়ে চলে যায়। বিক্রম সাউ নামে বছর বাইশের ওই যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে খিদিরপুরের কার্ল মার্ক্স সরণির বাসিন্দা বিক্রম মোটরবাইক চালিয়ে স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোডে ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। পিছনে বসেছিলেন সঞ্জয় সাউ নামে আর এক যুবক। তদন্তকারীরা জানান, সে সময়ে বৃষ্টি পড়ছিল। পাশাপাশি চালক ও আরোহী কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। রাত ১২টা নাগাদ প্রিন্সেপ ঘাটের কাছে মোটরবাইকটির চাকা পিছলে যায়। বাইকটি ছিটকে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। সেই সময়ে পিছন থেকে আসা একটি ভারী গাড়ি বিক্রমের পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকা পুলিশ তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করে। সঞ্জয়ের পা ভেঙেছে। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিক্রম এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, বিক্রমের কোমরের নীচের অংশে গুরুতর আঘাত রয়েছে। রাতেই তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। সোমবার বিক্রমকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বিক্রমের কাকা রঞ্জিত সাউ বলেন, ‘‘রাতে পুজো দেবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।’’ তবে মোটরবাইক চালানোর সময়ে চালক ও আরোহীর মাথায় কারও হেলমেট না থাকার বিষয়ে বিক্রমের দাদা বিশাল সাউ বলেন, ‘‘পুলিশ বারবার হেলমেট পরা নিয়ে সতর্ক করছে। ওদের হেলমেট পরা উচিত ছিল।’’