বেআইনি হোর্ডিংয়ে রাশ টানতে উদ্যোগী বিধাননগর

বিধাননগর পুর এলাকার বড় রাস্তা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মোড়েই শুধু নয়। অলিগলিতেও বিশৃঙ্খল ভাবে ঝুলে রয়েছে ছোটবড় হোর্ডিং। এ সব দেখেই হোর্ডিং নিয়ে দুধ ও জলের ফারাক বুঝতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:২৩
Share:

সারসার: অজস্র হোর্ডিংয়ে ভরে গিয়েছে কৈখালি (উপরে) ও বাগুইআটি-কেষ্টপুরের রাস্তা। ছবি: স্নেহাশিস

শহরে বাড়ছে হোর্ডিংয়ের সংখ্যা। অথচ রাজস্ব আসছে না পুরসভার ঘরে। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিধাননগর পুর এলাকায়। সূত্রের খবর, হোর্ডিংয়ের সম্পূর্ণ তথ্য নেই বিধাননগর পুরসভার কাছেও। তার জেরেই বেড়ে গিয়েছে বেআইনি হোর্ডিংয়ের সংখ্যা। ফলত এ বার হোর্ডিং ব্যবসায়ীদের থেকেই হোর্ডিংয়ের তথ্য নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে পুরসভার অন্দরে। যাতে পুরসভার হোর্ডিং সংক্রান্ত তথ্যপঞ্জির সঙ্গে ব্যবসায়ীদের তথ্য মিলিয়ে বেআইনি হোর্ডিং চিহ্নিত করা যায়। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, হোর্ডিং নিয়ে পুরসভার আয়বৃদ্ধির কথা ভাবা হচ্ছে। হোর্ডিং থেকে আয় বাড়াতে এবং হোর্ডিং ব্যবসাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে আলোচনা হবে।

Advertisement

বিধাননগর পুর এলাকার বড় রাস্তা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মোড়েই শুধু নয়। অলিগলিতেও বিশৃঙ্খল ভাবে ঝুলে রয়েছে ছোটবড় হোর্ডিং। এ সব দেখেই হোর্ডিং নিয়ে দুধ ও জলের ফারাক বুঝতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি মেয়র কৃষ্ণাকে এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তাঁর প্রস্তাব, হোর্ডিং ব্যবসায়ীরাই নিজে থেকে তাঁদের কত হোর্ডিং রয়েছে তার তথ্য জমা করুন। সেই তথ্যের সঙ্গে পুরসভার কাছে থাকা হোর্ডিং এর তথ্য মেলালেই অনুমতিপ্রাপ্ত এবং অনুমতিহীন হোর্ডিংয়ের হিসেব স্পষ্ট হবে।

অনিন্দ্য অবশ্য মেয়রকে দেওয়া তাঁর প্রস্তাব নিয়ে বিশদে কিছু জানাতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘মেয়রকে হোর্ডিং ব্যবসা শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে একটি প্রস্তাব দিয়েছি। প্রস্তাব বিবেচনা করলে পুরসভার আয় বাড়বে।’’

Advertisement

পুর প্রশাসনও মনে করছে হোর্ডিং ব্যবসা শৃঙ্খলাবদ্ধ হলে পুরসভার কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব বাড়তে পারে। সূত্রের খবর, কলকাতার ধাঁচে বিধাননগরেও বেআইনি হোর্ডিংয়ের ব্যবসায়ীদের থেকে ওয়েভার স্কিমের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা যায় কি না, তা নিয়ে পুরসভার অন্দরে জল্পনা চলছে।

অতীতে অনুমতিহীন হোর্ডিং কেটে দিয়েছিল পুরসভা। এক কাউন্সিলরের কথায়, ‘‘হোর্ডিং কেটে দিলে তো ফের অন্য কোথাও তা তুলে নিয়ে গিয়ে বসানো হবে। তাতে আখেরে পুরসভার কোনও লাভ হবে না। বরং ওয়েভার স্কিমের মাধ্যমে সুযোগ থাকবে ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব ব্যবসায়ীর থেকে আদায় করার।’’

যদিও হোর্ডিং ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, হোর্ডিং ব্যবসার ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে গিয়ে তথ্য দেওয়া হয় পুরসভাকে। তাদের কাছেই তথ্য রয়েছে। উল্লেখ্য, বেআইনি হোর্ডিংয়ের সমস্যা বিধাননগরে দীর্ঘদিনের। বছরের পর বছর ধরেই হোর্ডিং ব্যবসাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে চেয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কখনওই পুরো দস্তুর সাফল্য আসেনি। পুরসভার নজর এড়িয়ে অনুমতি নেই এমন জায়গায় হোর্ডিং ঝুলিয়ে মুনাফা করেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement