শুরু হতে চলেছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। ফাইল চিত্র।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় খাবারের স্টলে আগুন জ্বেলে রান্নায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিধাননগর পুরসভা। তবে, রান্নার বিকল্প জায়গা হিসাবে মেলা প্রাঙ্গণের পিছনে সুইমিং পুলের অংশটি খুলে দেওয়া হবে।
বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’-কে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘খাবারের স্টলে ভিড় উপচে পড়ে। তারই মধ্যে এক পাশে আগুন জ্বেলে রান্না হয়। যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে। এ বার তাই বইমেলা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেলা প্রাঙ্গণের ভিতরে রান্না করা যাবে না।’’ তার বদলে সুইমিং পুলের পাশে রান্না করে খাবার স্টলে নিয়ে আসা যাবে।
দিনকয়েক আগেই সল্টলেকের এফডি ব্লকে একটি সরকারি জমিতে ঝুপড়ি থেকে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। সল্টলেকে সাম্প্রতিক কালে অত বড় আগুন দেখা যায়নি। সেই আগুনের উৎস এখনও অজানা। তবে, পুর কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন, ওই জমিতে যে ব্যবসায়ীরা ছিলেন, তাঁরা অনেকেই দোকানের ভিতরে রান্না করতেন।
সোমবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে পুরসভা, গিল্ড, পুলিশ, দমকল একসঙ্গে করুণাময়ীতে বইমেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করে। সেখানেই পুর কর্তৃপক্ষ খাবারের স্টলে রান্নায় বিধিনিষেধের বিষয়টি জানিয়ে দেন। গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু দে জানান, পুরসভার সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাঁরাও সহমত। তিনি বলেন, ‘‘আমরাও চাই মেলা নিরাপদে পরিচালনা করতে। আর পুরসভার সুইমিং পুলটি মেলা প্রাঙ্গণের লাগোয়া। তাই সেখান থেকে খাবার স্টলে আনতে সমস্যা হবে না।’’
শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো চালু হওয়ার পরে এই প্রথম সল্টলেকে বইমেলা হচ্ছে। তাই এ বার দর্শক বাড়তে পারে। গত বছর যেখানে ৬৫০টির মতো স্টল ছিল, সেখানে এ বার স্টলের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৮৫০ হচ্ছে। তাই নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করতেপুলিশ বইমেলা কর্তৃপক্ষকে দেড়শোর বেশি সিসি ক্যামেরা রাখতে বলেছে বলে খবর। সুধাংশু জানান, শনি ও রবিবার মেট্রো চালাতে গিল্ডের তরফে মেট্রোর কাছে আবেদন করা হয়েছে।