দ্রুত মণ্ডপ খুলতে নোটিস দুর্গাপুজো কমিটিকে 

কালীপুজোর আগেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপ খুলে মাঠের গর্ত বোজানো এবং পড়ে থাকা পেরেক দ্রুত তুলে নেওয়ার জন্য নোটিস জারি করল বিধাননগর পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০১:০৮
Share:

বিধাননগর পুরসভা।

কালীপুজোর আগেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপ খুলে মাঠের গর্ত বোজানো এবং পড়ে থাকা পেরেক দ্রুত তুলে নেওয়ার জন্য নোটিস জারি করল বিধাননগর পুরসভা। দীর্ঘদিন ধরে সল্টলেকের বাসিন্দারা এ নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার এক শীর্ষকর্তা জানান, রাজারহাট-গোপালপুর এবং সল্টলেক মিলে মোট ৪১টি ওয়ার্ড। পুর এলাকার মধ্যে প্রায় ২০০টি দুর্গাপুজো হয়। তার মধ্যে শুধু সল্টলেকেই হয় ৯৬টি। রাজারহাট-গোপালপুর অঞ্চলে পুজো হয় আরও ১০৪টি। এর মধ্যে বারোয়ারির পাশাপাশি বাড়ি এবং আবাসনের পুজোও রয়েছে। সল্টলেকের প্রতি ব্লকে একটি করে মাঠ রয়েছে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেখানে বাঁশ পুঁতে দুর্গাপুজো হয়। যথারীতি মণ্ডপ তৈরি করতে পেরেকেরও ব্যবহার করা হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুজো শেষে সেই মণ্ডপ খুলে মাঠ খেলার উপযোগী বানাতে দেরি করে পুজো কমিটিগুলি।

Advertisement

এই অভিযোগ মানছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রে খবর, মাঠে পুজোর মণ্ডপ তৈরির সময়ে যে সব গর্ত করা হয়, সেগুলি ঠিক মতো ভরাট করা হয় না। মাঠের ঘাসে ছড়িয়ে পড়ে থাকে লোহার পেরেকও। তার ফলে খেলতে গিয়ে বা হাঁটতে গিয়ে একাধিক বার আবাসিকদের হাত-পা কেটে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তাই এ বছর পুজো কমিটিগুলিকে দ্রুত মাঠ পরিষ্কার করে গর্ত বুজিয়ে দিতে বলা হয়েছে। সে কাজে কোনও অসুবিধা হলে পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরের

সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্য নিতেও বলা হয়েছে।

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘কোনও পুজো কমিটি এই নির্দেশ উপেক্ষা করলে পুরসভা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। সবুজ পরিচ্ছন্ন বিধাননগরের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।’’ তিনি আরও জানান, একই ভাবে কালীপুজোর পরেও মণ্ডপ দ্রুত খুলে ফেলারও নোটিস পাঠানো শুরু হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement