করুণাময়ীর কাছে এই কুয়ো নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র
সল্টলেকে এ বার কুয়োর সন্ধান মিলল।
নগরোন্নয়ন আইন অনুযায়ী, শহরের বুকে কুয়ো থাকার কথা নয়। ফলে কে বা কারা ওই কুয়ো খুঁড়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। করুণাময়ীর কাছে বিধাননগরের স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণের উল্টো দিকে যেখানে বইমেলার জন্য পার্কিং লট তৈরি হয়েছিল, সেখানেই দু’টি কুয়োর খোঁজ মিলেছে। বইমেলা চলাকালীন সেখানে আসা দর্শকদের অনেকেই ওই কুয়ো দু’টি দেখতে পান।
খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, কুয়ো দু’টি যেখানে রয়েছে, সেটি একটি ফাঁকা জমি। জায়গাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা, সারা বছর ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা থাকে। ফলে ওই জায়গায় সচরাচর কেউ যাতায়াত করতে পারেন না। তাই কুয়ো দু’টি কবে খোঁড়া হয়েছে তা নিয়ে কেউ কিছু জানাতে পারেননি।
সম্প্রতি বাঁশদ্রোণীতে একটি বাড়িতে খোলা কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। সল্টলেকে বইমেলায় আসা লোকজন জানিয়েছেন, কুয়ো দু’টিতে জল রয়েছে। বইমেলার সময়ে ওই পার্কিং লটের কাছে একটি প্রস্রাবাগারও তৈরি করা হয়েছিল। খোলা অবস্থায় পড়ে থাকা কুয়ো দু’টির পাশ দিয়েই বিপজ্জনক ভাবে লোকজনকে যাতায়াত করতে হয়েছে। দর্শকদের দাবি, খোলা কুয়োয় পড়ে যাওয়ার ভয় ছিল। মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা শুভেন্দু রায় জানান, তিনি বইমেলার ঠিক উল্টো দিকে পার্কিং লটে গাড়ি রাখতে গিয়ে ওই দু’টি কুয়ো দেখতে পান। তাঁর কথায়, ‘‘অবিলম্বে কুয়ো দু’টি বন্ধ করা উচিত প্রশাসনের।’’
ওই ফাঁকা জমির আশপাশে যাঁরা বছরভর দোকান চালান, তাঁরা জানান, জায়গাটি সব সময়ে ঝোপজঙ্গলে ঢাকা থাকে। তার জেরে মশাও হয়। বইমেলার সময়ে পার্কিং লট তৈরির জন্য ওই এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছিল। তার পরেই কুয়োটি নজরে পড়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, প্রস্রাবাগারের জল ওই দু’টি কুয়োয় মিশছে এবং কুয়োর জল ইতিমধ্যেই কেউ ব্যবহার করছেন কি না, তা নিয়ে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, কুয়ো দু’টিতে চুনকামও করা হয়েছে। সেখানে মশা জন্মানোর আশঙ্কাও রয়েছে। বিধাননগর পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, পুরকর্মীরা ওই জমিতে গিয়ে কুয়ো দু’টি দেখে রিপোর্ট দেবেন। জমিটির এক দিকে আবাসিক এলাকা, দু’পাশে অফিস এলাকাও রয়েছে।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘আধিকারিকদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’