জ্বলে খাক হয়ে যেত গোটা পাড়া, দমকলের প্রশংসায় বেলেঘাটা

বদলে গিয়েছে গাছপালার রং। পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া গাছের পাতাগুলোই বলে দিচ্ছে আগুনের ভয়াবহতা। বৃহস্পতিবার রাতে আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে বেলেঘাটা মেন রোডের ফাইবারের জিনিস তৈরির কারখানা ও লাগোয়া আরও কয়েকটি ছোট কারখানা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৫ ১৮:৩৩
Share:

বদলে গিয়েছে গাছপালার রং। পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া গাছের পাতাগুলোই বলে দিচ্ছে আগুনের ভয়াবহতা। বৃহস্পতিবার রাতে আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে বেলেঘাটা মেন রোডের ফাইবারের জিনিস তৈরির কারখানা ও লাগোয়া আরও কয়েকটি ছোট কারখানা। শুক্রবার সকালেও পোড়া প্লাসটিক আর রাসায়নিকের গন্ধে ভারী ছিল ওই এলাকার বাতাস।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফাইবার কারখানার জানালা দিয়ে আগুনের শিখা বেরোতে দেখে লালবাজারে ১০০ নম্বরে ফোন করে জানান স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম ওঝা। যে কারখানা থেকে আগুন ছড়ায় তার দু’টো বাড়ি পরেই তিনি থাকেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী-ই প্রথমে দেখতে পান আগুন। তিনি আমায় জানান দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে কারখানার ভিতরে। কিছু ক্ষণ বুঝতেই পারিনি কী করব। লালবাজারে ফোন করার পরেই আমাদের রান্নাঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডারটা সরিয়ে দিই। কী যে আতঙ্কে কেটেছে একটা রাত।’’

এ দিনও দেখা গেল দমকল কর্মীরা পুড়ে যাওয়া কারখানা থেকে বার করে আনছেন পোড়া টিনের শেড, মজুত রাখা কঞ্চি। তাঁরা জানান, ফাইবার কারখানার ঠিক পাশেই ছিল প্লাস্টিকের অন্য কারখানা। সেই কারখানার ভিতরের দিকে জড়ো করা ছিল ওই কঞ্চি। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ফাইবার কারখানার আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায় কঞ্চিতে। রাতে হাওয়ার জোর গতি আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরও একটি কারখানা ও তার পিছনের গুদামে।

Advertisement

দেখা গেল, পুড়ে গিয়ে দুমড়ে মুচড়ে দলা পাকানো শেডের পাশ দিয়ে উঁকি দিচ্ছেন এলাকার কৌতুহলী জনতা। আগুনের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করেছেন সন্তোষ সাহা নামে এলাকার আরও একজন। তিনি জানান, প্রায় দশ বছর ধরে ওই এলাকায় বাস করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতের মতো ভয়াবহ আগুন আগে তিনি দেখেননি। তাঁর আশঙ্কা, দমকলকর্মীরা কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে না আনলে গোটা এলাকাটাই পুড়ে ছাই হত।

দমকলের কর্মীরা আরও জানান, ফাইবার কারখানার পিছনে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার তৈরির কারখানা। আগুন সেই কারখানা ছুঁতে পারেনি। তাঁরা জানান, কী ভাবে আগুন লাগে তা এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি। তবে, দমকলের অফিসারদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেও আগুন লাগতে পারে। অফিসারেরা জানান, কারখানা লাগোয়া খাল থেকে পর্যাপ্ত জল মেলায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছিল।

অফিসারেরা এ দিন অভিযোগ করেন, এলাকার কারখানাগুলোয় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা কার্যত নেই। সেখানে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় এলাকাটি জতুগৃহ হয়ে রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement