জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে দেশের পূর্বাঞ্চলের জন্য বেলেঘাটা আইডি-তে তৈরি হয়েছে পরীক্ষাগার। ফাইল ছবি।
কুকুর কামড়ানোর আতঙ্ক থেকে কেউ জলাতঙ্কের আগাম প্রতিষেধক নিলে তাঁর শরীরে কতটা প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকছে বা তৈরি হয়েছে, তা জানতে এত দিন ভরসা ছিল অন্য রাজ্য। এ বার সেই পরীক্ষার সুযোগ মিলবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেই।
জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে দেশের পূর্বাঞ্চলের জন্য বেলেঘাটা আইডি-তে তৈরি হয়েছে পরীক্ষাগার। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে যেটির সূচনা করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ও দিল্লির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোলের (এনসিডিসি) যুগ্ম-অধিকর্তা। উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম-অধিকর্তা, আইডি হাসপাতালের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, ডিন এবং ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অব রেবিজ়’-এর সর্বভারতীয় সভাপতি, চিকিৎসক সুমিত পোদ্দারও।
জলাতঙ্কের আগাম প্রতিষেধক নেওয়া কাউকে কুকুর কামড়ালে বা আঁচড়ালে তাঁকে অ্যান্টি রেবিজ় প্রতিষেধকের পুরো কোর্স করতে হবে কি না, তা নির্ণয় করা যাবে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে। যাঁদের ওই প্রতিষেধক আগাম নেওয়া নেই, তাঁদের প্রতিষেধক নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হল।
এই পরীক্ষার জন্য এত দিন এনসিডিসি, বেঙ্গালুরুর নিমহান্স, পুণের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে নমুনা পাঠাতে হত। আইডি হাসপাতালের ডিন তথা চিকিৎসক আশিস মান্না বলেন, “এলাইজ়া পদ্ধতির এই পরীক্ষায় রক্ত বা সুষুম্না রস থেকে জলাতঙ্কের ভাইরাসের বিরুদ্ধে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি মাপা যায়। এর সাহায্যে আক্রান্তের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা সংক্রমণের অবস্থা বোঝা যেতে পারে।”
সুমিত বলেন, ‘‘দেশে কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গে জলাতঙ্কে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগে থেকেই কম, তাঁদের কুকুর কামড়ালে বা আঁচড়ালে এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।”