এক তরুণীর সঙ্গে একাধিক বার অশালীন আচরণ এবং তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগে এক অটোচালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম হারাধন দাস। মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের একটি শপিং মলের কাছ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণী আদতে নেপালের নাগরিক। পরিবার থাকে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায়। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি অটো করে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে হারাধন বারবার তরুণীর মোবাইল নম্বর জানার চেষ্টা করেন। ঘটনায় ওই তরুণী এতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যে কাউকে কিছু জানাননি।
এর পরে গত ৬ অক্টোবর ওই তরুণী ২০৬ বাসস্টপের কাছ অটোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সে সময়ে একটি অটো এসে দাঁড়ায়। তাতে উঠেই তরুণী বুঝতে পারেন, তিনি অভিযুক্ত চালকের গাড়িতে উঠেছেন। সে দিনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। এর পরে পরিবারের সদস্যদের সব বলেন ওই তরুণী। মঙ্গলবার সকালে তিনি যখন বিডি স্টপে বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, সে সময়ে ফের হাজির হন হারাধন। ফের ওই তরুণীকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। এর পরেই পুলিশে যান অভিযোগকারিণী। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত অটোচালক তাঁর দোষ কবুল করেছেন।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ভাড়া নিয়ে চালকেরা প্রায়ই দুর্ব্যবহার করেন। এর সঙ্গে তাঁদের দাদাগিরি তো আছেই। বারবার কেন এমন ঘটছে, তা দেখে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। যদিও সল্টলেকের একটি অটো ইউনিয়নের কর্তা নির্মল দত্তের দাবি, অভিযুক্ত হারাধন তাঁদের ইউনিয়নের সদস্য নন। তিনি ফ্লাইং অটো চালান। নির্মলবাবুর আরও দাবি, যাত্রীদের সঙ্গে চালকেরা যাতে ভদ্র আচরণ করেন, সে ব্যাপারে লাগাতার প্রচার চালানো হয়। তার পরেও কোনও সদস্যের নামে অভিযোগ উঠলে তাঁকে ১৫ দিন রুট থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ফ্লাইং অটোর ক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না।
এই প্রেক্ষিতে বাসিন্দাদের প্রশ্ন, অপ্রীতিকর কিছু ঘটলেই বলে দেওয়া হয় ফ্লাইং অটো। এদের ক্ষেত্রে নজরদারি করবে কে? বিধাননগরের এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘স্ট্যান্ডের অটোই হোক বা ফ্লাইং অটো, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পদক্ষেপ করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’’