— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুল খোলা রাখতে হবে বলে মঙ্গলবারই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল অর্থ দফতর। আরও জানানো হয়েছিল, পঠনপাঠন থাকবে স্বাভাবিক। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
সেই অনুযায়ী এ দিন সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি খোলা থাকলেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম। অধিকাংশ স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, রাস্তায় গোলমালের আশঙ্কায় বেশির ভাগ অভিভাবক ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাননি। হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘দিবা বিভাগে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ২০ জনেরও কম পড়ুয়া এসেছে। নবম ও দশমে যেখানে এক-একটি বিভাগে প্রায় ৪০ জন করে পড়ুয়া থাকে, সেখানে ওই দুই শ্রেণি মিলিয়ে এসেছে ৩১ জন।’’ মিত্র ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক রাজা দে বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে মোট পড়ুয়া ১১০০-র কিছু বেশি। সেখানে এ দিন পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত এসেছে ৭২ জন।’’ যোধপুর পার্ক বয়েজ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানান, তাঁদের স্কুলেও পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল খুব কম।
বেসরকারি স্কুলগুলির বেশির ভাগই অবশ্য এ দিন ছুটি ঘোষণা করেছিল। রামমোহন মিশন হাইস্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের জুনিয়র বিভাগ বন্ধ থাকলেও সিনিয়র বিভাগ খোলা ছিল। তবে উপস্থিতির হার ছিল খুব কম।’’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চতুর্থ সিমেস্টারের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা এ দিন হয়েছে। তবে রায়দিঘি কলেজের এক পরীক্ষার্থী আসতেই পারেননি। অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে জানান, এমন যদি আরও হয়ে থাকে, সেই পড়ুয়াদের বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। রায়দিঘি কলেজের অধ্যক্ষ শশবিন্দু জানা জানিয়েছেন, কয়েক জন পরীক্ষার্থী দেরিতে এসে পৌঁছলে তাঁদের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।