সিসিটিভিতে ধরা এটিএম জালিয়াতের ফুটেজ। -নিজস্ব চিত্র।
শহরে ফের সক্রিয় এটিএম জালিয়াতরা। এ বার জালিয়াতদের ‘টার্গেট’ বয়স্ক গ্রাহকেরা। প্রবীণদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা এটিএম ব্যবহারের নিয়মকানুন জানেন না। কিন্তু টাকা তুলতে হলে অনেক সময়ে এটিএম কার্ড ব্যবহার করতেই হয়। এমনই সব গ্রাহকদের টার্গেট করত নতুন এই চক্র।
বেশ কয়েক দিন ধরেই এই জালিয়াত চক্রের পাণ্ডাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। অবশেষে বুধবার দু’জনকে গয়া থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল সুলতান খান এবং সুরেন্দ্র কুমার। ধৃতদের কলকাতায় আনা হচ্ছে।
কী ভাবে কাজ করতে এই চক্র? পুলিশ সূত্রে খবর, এটিএম-এ ঢুকে টাকা তুলতে গিয়ে কারা সমস্যায় পড়ছেন, দূর থেকে তা নজর রাখত জালিয়াতরা। পরিস্থিতি বুঝে টাকা তোলার আছিলায় এটিএমের ঢুকে পড়ত তারা। কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা-ও জানতে চাইত। পোশাক, কথাবার্তায় বোঝা বোঝা সম্ভব নয়, এরা আসলে এটিএম জালিয়াত। তাই গ্রাহকেরা জালিয়াতদের ফাঁদে পড়ে সাহায্য চাইত। আর তখনই হাতের কারসাজিতে সাহায্যের নামে নকল ‘স্কিমার মেশিন’-এ কার্ডে থাকা তথ্য হাতিয়ে নিত জালিয়াতরা। পরে নকল কার্ড বানিয়ে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করতে এই চক্র।
জালিয়াতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ‘স্কিমার’ যন্ত্র। -নিজস্ব চিত্র।
কয়েক মাস আগে রোমানীয় এবং নাইজেরিয়ান গ্যাঙের বেশ কয়েক জন এটিএম জালিয়াতকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কিছু দিনের জন্যে এই কারবার বন্ধই ছিল। ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে জালিয়াতরা। কিছু দিন আগেই এক পুলিশকর্মীর অ্যাকাউন্ট থেকেও টাকা গায়ব হয়ে গিয়েছিল। অক্টোবর মাসে এই চক্র কলকাতা কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
আরও পড়ুন- এটিএম কার্ড চালুর ফাঁকেই টাকা গায়েব দম্পতির