মাসের শেষে মাথায় হাত পড়েছিল শহরের একটি ব্যাঙ্কের অসংখ্য গ্রাহকের। কানাড়া ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকটি শাখার এটিএম থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল লক্ষ লক্ষ টাকা। এক নজরে দেখে নিন এ ধরনের সাইবার প্রতারণার কী ভাবে হয়। সঙ্গে রইল এ ধরনের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচার উপায়।
এটিএম স্কিমিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এটিএম কার্ডের তথ্য হাতানো হয়। গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অজান্তেই টাকা গায়েব করা যায়। এই সাইবার অপরাধীদের বলা স্কিমার।
প্রধানত স্কিমিং হয় তিনটি ধাপে। এটিএম কার্ড প্রেস করার জায়গায় স্কিমিং ডিভাইস আগে থেকেই লাগিয়ে রাখা হয়। খুবই ছোট হয় এ ধরনের ডিভাইস। কোনও সংযোগ তার ছাড়াই স্কিমারকে তথ্য পাঠাতে পারে এই যন্ত্র।
ওই যন্ত্র আকারে তিন ইঞ্চির বড় নয়। এটিএমে কার্ড সোয়াইপের জায়গায় যন্ত্রটি লুকিয়ে রাখা হয়। গ্রাহক কার্ড সোয়াইপ করামাত্রই দুষ্কৃতীদের লাগানো যন্ত্রে সেই তথ্য বা ডেটা নকল হয়ে যায়। পরে সেই তথ্যের ভিত্তিতে নতুন এটিএম কার্ড তৈরি করে নেয় অপরাধী।
অনেক সময় জালিয়াতরা এটিএমে লাগানো ক্যামেরার ‘সেটিংস’ পরিবর্তন করে দেয়। তার ফলে কোনও গ্রাহক যখন এটিএমে পিন নম্বর টিপছেন, সেটা দেখা যায় সেই সিসিটিভি ক্যামেরায়।
এ ধরনের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে দেখে নিন এটিএম কিয়স্কে নিরাপত্তারক্ষী আছেন কি না। যদি কোনও রক্ষী না থাকেন তা হলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান। রক্ষীবিহীন এমন এটিএম ব্যবহার করবেন না।
কার্ড সোয়াইপ মেশিনে আলো জ্বলছে কি না, তা-ও দেখতে হবে। সেই সঙ্গে এটিএমের উপর হাত ঢেকে পিন নম্বর দেওয়া অভ্যাস করুন।