প্রতীকী চিত্র।
বারাসত থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি-লিঙ্কম্যান লালু সেন ওরফে রাহুল কুমারের থেকে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপটি আদতে এক জেএমবি জঙ্গির। বাংলাদেশের বাসিন্দা ওই জঙ্গি পলাতক বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। আরও জানা গিয়েছে, বিদেশে অদক্ষ শ্রমিক পাচারের কাজও করত লালু। বুধবার তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ৯ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গত ১৪ জুলাই বারাসত থেকে লালু সেন ওরফে রাহুল কুমারকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। তার থেকে উদ্ধার হয় দু’টি ল্যাপটপ, একটি আইপ্যাড এবং দু’টি মোবাইল। তদন্তকারীরা জানান, ওই দু’টি ল্যাপটপের একটি খোলার পরে জানা যায়, সেটি বাংলাদেশের এক জঙ্গি ব্যবহার করত। সেখান থেকে জঙ্গি কাজকর্মের তথ্যও মিলেছে। পুলিশ জানায়, জেএমবি চাঁই, বাংলাদেশে জেলবন্দি আল আমিনের সঙ্গে লালুর যোগাযোগ করিয়েছিল পলাতক জঙ্গি আনসার আলি ওরফে হৃদয়। বাংলাদেশ থেকে সে-ই আল আমিনের নির্দেশ পৌঁছে দিত লালুকে।
এ দিন সরকারি কৌঁসুলি আদালতে জানান, লালু সব নথি তৈরি করে এ দেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিকদের বিদেশে পাঠাত। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের ভারতে ঢুকিয়ে এখানকার নথি পেতে সাহায্য করত। গোয়েন্দাদের দাবি, আল আমিন এবং হৃদয়ের নির্দেশে লালু হরিদেবপুর থেকে ধৃত জঙ্গি সাব্বির, নাজিউর ও রাকিবুলদেরও ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছিল।