উদ্বোধনের পরে আনন্দ বিপণিতে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: প্রকাশ পাল।
চন্দননগর, উত্তরপাড়া ও শ্রীরামপুরের পর ডানকুনিতে আত্মপ্রকাশ করল নতুন আনন্দ বিপণি। রবিবার বিকেলে ডানকুনির টি এন মুখার্জি রোডের লিচুবাগান এলাকায় আনন্দ বিপণির উদ্বোধন করেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় ও স্মরণজিৎ চক্রবর্তী।
এ দিন বিকেলে উদ্বোধনের আগে থেকেই বিপণির বাইরে ভিড় জমতে শুরু করে বইপ্রেমীদের। প্রদীপ জ্বালিয়ে ফিতে কেটে বিপণিটির উদ্বোধন করেন শীর্ষেন্দুবাবু। হাজির ছিলেন আট থেকে আশি-সব বয়সের সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। স্নাতকস্তরে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ঐন্দ্রিলা কর এ দিন তিনটি বই কেনেন। তাঁর কথায়, ‘‘ডানকুনি বইমেলায় আনন্দ প্রকাশনীর স্টল ছিল। কিন্তু সে তো সাময়িক। স্থায়ী বিপণি তৈরি হওয়ার পর বইপ্রেমীদের আশা মিটবে।’’
স্থানীয় বাসিন্দা মুকুল বাগচির মতে, ‘‘আনন্দ বিপণি চালু হওয়ায় শহরবাসী হিসেবে আমরা দারুণ খুশি। গোটা শহরের জন্য এটা খুব ভাল বিজ্ঞাপন।’’ বাবার সঙ্গে এসেছিলেন দশম শ্রেণির ছাত্রী পৌলমী চন্দ। বেরোনোর সময় তার ঝুলিতে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘কিশোর সমগ্র’ ও সত্যজিৎ রায়ের ‘সেলাম প্রফেসর শঙ্কু’। সামনে থেকে নামজাদা সাহিত্যিকদের দেখতে পেয়ে সে ছিল বেজায় খুশি। এ দিন অনেকেই উপস্থিত সাহিত্যিকদের কাছে অটোগ্রাফ দেওয়ার আবদার করেন।
আনন্দ পাবলিশার্সের কর্তা সুবীর মিত্র জানান, ডানকুনির বিপণিটি হুগলির মধ্যে চতুর্থ ও রাজ্যের মধ্যে ৪০তম বিপণি। এখানে আনন্দ পাবলিশার্স প্রকাশিত সব বই পাওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার ছাড়া প্রতি দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে আনন্দ বিপণি।