কৃষ্ণচন্দ্র পাল।
কেদারনাথ বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব এক প্রৌঢ়ের। তাঁর নাম কৃষ্ণচন্দ্র পাল। বাড়ি শিবপুরের ভুবনমোহিনী রোডে। গত বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ থানার পুলিশ রাস্তা থেকে অসুস্থ ওই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানেই তিনি মারা যান। ওই রাতেই রুদ্রপ্রয়াগ থানা থেকে শিবপুর থানায় ফোন করে খবর দেওয়া হলে প্রৌঢ়ের পরিবার সংবাদ পায়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে হাওড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভুবনমোহিনী এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ৭ অক্টোবর পাড়ার একটি দলের সঙ্গে হাওড়া থেকে রওনা দেন ওই প্রৌঢ়। দলে ছিলেন তাঁর বন্ধুরাও। ১১ তারিখ সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। দলের এক সদস্য মনোজ বসু ফোনে জানান, ঘোড়া না নিয়ে হেঁটেই পাহাড়ে উঠছিলেন তিনি। তার পরে হঠাৎই হারিয়ে যান। তাঁকে আর দেখা যায়নি।
মনোজ বলেন, ‘‘দুপুর ৩টে নাগাদ কেদারে পৌঁছে যাই। এর পরে একে একে বাকিরা এলেও কৃষ্ণ আসেনি। রাত ২টো পর্যন্ত ওর জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কৃষ্ণ আসেননি।’’ তিনি জানান, পরের দিন হাওড়ার শিবপুর থানা থেকে ওই প্রৌঢ়ের ভাইয়ের মাধ্যমে দলের অন্য সদস্যেরা জানতে পারেন, পথের ধারে কৃষ্ণকে পড়ে থাকতে দেখে রুদ্রপ্রয়াগ থানার পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
বৃহস্পতিবার শিবপুরের ভুবনমোহিনী রোডের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে ভিড় করেছেন প্রতিবেশীরা। খবর পাওয়ার পর থেকে টানা ওই প্রৌঢ়ের পরিবারের পাশে থেকেছেন এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর শ্যামল মিত্র। শ্যামল বলেন, ‘‘কৃষ্ণদার বেড়ানোর খুব নেশা ছিল। এ বার স্ত্রীকে না নিয়ে একাই বন্ধুদের সঙ্গে চলে যান। বাড়ির লোক বারণ করেছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণদা শোনেননি।’’ তিনি জানান, দেহরাদূন বিমানবন্দরে প্রৌঢ়ের দেহ আনা হচ্ছে। সেখান থেকে কলকাতায় দেহ আনার জন্য তাঁর মেয়ে পৌঁছে গিয়েছেন। শুক্রবার দেহ হাওড়ার বাড়িতে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।